বিদ্রোহী ও সাম্যের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে তার অবিস্মরণীয় সৃষ্টি এবং চেতনা তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার আহবান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, এই সম্পদকে যদি ধরে রাখতে চাই রক্ষা করতে চাই তাহলে একটি উপায় আমাদের তরুণ প্রজন্ম নতুন প্রজন্ম তাদের সাথে নতুনদের একটা সেতু বন্ধন গড়ার দরকার আছে।
জাতীয় কবির নাতনী মিষ্টি কাজী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কাজী পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করছি যে, বাংলাদেশে যারা আসেন প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী যারা দেশ বিদেশ থেকে আসেন আমি চাই দাদুর মাজার জিয়ারত করুক।
গান, কবিতা, গল্প, উপন্যাস এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে কাজী নজরুল ইসলামের পদচারণা ছিলো না। তাঁর অমর সৃষ্টি নিয়ে আরো গবেষণা ও চর্চার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা।
নজরুল গবেষক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে নজরুলের জীবন তার সাহিত্য কর্ম সর্ম্পকে আলোচনা তুলে ধরেন, দেখেন তরুণ সমাজ কীভাবে উদ্দেলিত হয়।
নজরুল সংগীত শিল্পী ড. লীনা তাপসী খান বলেন, একমাত্র আমাদের অবলম্বন হল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংগীতকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং সংগীতের সাথে পরিচিত করা।
অন্যায় ও শোষণের বিরুদ্ধে প্রেম আর দ্রোহের কবি সবসময়ই ছিলেন সোচ্চার। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, সমস্ত অত্যাচার বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছেন। শুধু লড়াই বলতে তার সাহিত্য কর্মের মধ্যে নয় তার কবিতা বা গানের মধ্যে নয় তিনি প্রত্যক্ষভাবে এই লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সকল বিষয়ে তিনি জণগনের জন্য যা লিখে গেছেন তার আবেদন এখনো শেষ হয়ে যায়নি।
কবির সমাধির পাশে আয়োজন করা হয় কবিতা পাঠ আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। এছাড়া কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে নানা কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন সংগঠন। কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁরা বলেছেন, স্কুল পর্যায় থেকে নজরুলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সেতু বন্ধন তৈরি হলে কবির আদর্শ ও চেতনা ধারণ করে তারা সামনে পথ চলতে পারবে।