একজন বিচারপতির নেতৃত্বে কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের নিপীড়ন এবং গ্রেপ্তারের ঘটনা তদন্তের দাবি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।
মঙ্গলবার আইনজীবী সমিতির শহিদ সফিউর রহমান মিলনায়াতনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সমিতির সভাপতি আ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন।
তিনি বলেন, ‘আন্দোলন করা ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে দেয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না হলে বিনা পয়সায় ভুক্তভোগি ছাত্র-ছাত্রীদের মামলা পরিচালনায় সহায়তা করবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।
জয়নুল আবেদিন বলেন, ‘শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের চলমান আন্দোলনকে আমরা যৌক্তিক মনে করি। কোটা সংস্কার দরকার।’
এ সময় কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও চাকরিপ্রার্থীদের উপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মদদপুষ্ট ছাত্র সংঠনের হামলার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি উদ্বেগ প্রকাশ করে ও নিন্দা জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ অন্যান্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
রোববার পাঁচ দফা দাবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাকর্মীরা রাজধানীর শাহবাগে পূর্ব ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা।
রাতভর সংঘর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চলে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের তাণ্ডব।
এরপর সোমবার তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে সরকারের প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনার পর ১ মাসের জন্য চলমান অান্দোলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
তবে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে সোমবার রাতেই রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নেয় কোটা সংস্কার দাবি করা সাধারণ আন্দোলনকারীরা।
এ সময় তারা সরকারের সাথে আলোচনায় বসা কমিটিকে ‘অবাঞ্ছিত ঘোষণা’ করে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে কোটা সংস্কারের দাবি না মানলে পরদিন ১৬ এপ্রিল সারাদেশের শিক্ষার্থীরা ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচির মাধ্যমে রাজধানীতে এসে আন্দোলন করবে বলেও জানানো হয়।