শুষ্ক মৌসুমে পদ্মায় পানি না থাকলেও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনপদ রাজশাহী এখন ডুবতে বসেছে ফারাক্কা থেকে ধেয়ে আসা পানিতে। হুমকির মুখে পড়েছে শহর রক্ষা বাঁধ। ফারাক্কার প্রায় সবগুলো গেট খুলে দেয়ার পরে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে পদ্মার পানি।
যদিও সরকারে পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে ফারাক্কার সবকটি খুলে দেওয়ার পরও বাংলাদেশে তেমন কোন সমস্যা হবে না। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে এ মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়ার চৌধুরী।
বিহারের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতিতে ফারাক্কার ১০৯ গেটের ৯টি বাদে সব কটি গেটই খুলে দেয় ভারত। ফলে এমনিতেই মৌসুমী বন্যা সমস্যায় নাকাল দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদী গুলোতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধের আস-পাশের বাড়ি ঘর পানির নিচে চলে গেছে।
বন্যার কারণে বিহার অঞ্চলে দুই লাখ মানুষের বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এ গেটগুলো খুলে দিলে ১১ লাখ কিউসেক পানি সরে যাবে যাতে
করে বিহারের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। বিহার রাজ্যে গত এক সপ্তাহে ১০
লাখের বেশি মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে।
যদিও দেশে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলে আসছিলো, ১১ লাখ কিউসেক পানির প্রবাহ যদি বাংলাদেশের ভেতরে আসে তাহলে বাংলাদেশ অংশে পদ্মায় পানি বাড়বে কিন্তু বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হবে না।