চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফোর-জি যুগে প্রবেশ করেছিল বাংলাদেশ। এর কয়েক মাস পর আজ বুধবার ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের পরীক্ষামূলক প্রদর্শনী হয়েছে। এর মাধ্যমে ফাইভ-জি দুনিয়ায় বাংলাদেশের প্রবেশের লক্ষ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। এটা অবশ্যই ইতিবাচক খবর।
বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের আগেই তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছিল। ফোর-জি চালুর পর এবার ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের পরীক্ষামূলক প্রদর্শনীর মাধ্যমে সেদিকে অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে। তবে চলার এই পথ কখনোই মসৃণ ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন: ‘‘বিশ্বের প্রথমে ৫-জি চালু করা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ থাকবে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে দেশ সুপার ফাস্ট গতির ৫-জি যুগে পথ চলা শুরু করবে। নিত্য-নতুন প্রযুক্তির প্রতি আমার সংবেদনশীলতার জন্য আমাকে ‘টেকি’ (প্রযুক্তি প্রেমী) বলা যেতে পারে। প্রযুক্তি দুনিয়ায় যা কিছু নতুন আসে সেগুলো আমি আমার জন্য এবং দেশের জন্য চাই। বিশ্বজুড়ে এখন ৫-জি নিয়ে আলোচনা চলছে। আজ বাংলাদেশেও আমরা ৫-জি আলোচনা শুরু করলাম।’’
আমরা মনে করি, ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে। তবে এক্ষেত্রে কিছু অজানা শঙ্কা থেকেই যায়। যেমন, বিশেষ করে ফোর-জি, এমনকি থ্রি-জি নেটওয়ার্ক এখনও দেশের অনেক জায়গায় পৌঁছায়নি। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়ও বেশিরভাগ সময় অত্যাধুনিক এসব নেটওয়ার্কের বদলে পুরনো ইডিজিই নেটওয়ার্ক থাকে বলে প্রায়ই অভিযোগ উঠে। তবে নীতিমালা অনুযায়ী ইন্টারনেটের গতি গ্রাহক ঠিকমতো পাবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। এ বিষয়টি নিশ্চিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট সকলকে উদ্যোগী হতে হবে।
এছাড়া ইন্টারনেটের বাড়তি দামের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের লাগাম টেনে ধরার বিষয়েও কঠোর হতে হবে। সজীব ওয়াজেদ জয় আজকের অনুষ্ঠানেও এ বিষয়ে কথা বলেছেন। এছাড়া দায়িত্ব গ্রহণের শুরুর দিকেই ইন্টারনেটের দাম কমিয়ে তা সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখার বিষয়টি নিজের অন্যতম প্রধান কাজ বলে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ইন্টারনেটের ন্যায্য দামের বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের কথায় আস্থা রাখতে চাই।
সকল বাধা দূর করে ফাইভ-জি দুনিয়ায় শুরুর দিকেই বাংলাদেশ নিজের শক্ত অবস্থান জানান দেবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।