প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণের বহুমাত্রিক পরিকল্পনা নিয়ে ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন। ২০১০ সালের ১ আগস্ট থেকে শুরু হয় ‘প্রকৃতি ও জীবন’ অনুষ্ঠানের পথচলা। সম্প্রতি যার এক দশক পূর্ণ হলো।
আর এই উপলক্ষ্যে তুষার কান্তি সরকার ও শামীম আহমেদের সম্পাদনায় ‘এক দশকে পথ চলা’ নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেছে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন। জন্মশত বার্ষিকীর উৎসব মুখরতায় বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে।
বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ছাহিদুল ইসলাম, অলংকরণ করেছেন নূরুল ইসলাম রানা। প্রায় দুইশো পৃষ্ঠার এই বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের এক দশকে পথ চলার উত্থানের গল্প। বইটির সূচিপত্রে স্থান করে নিয়েছে সুহৃদ ভাষ্য, টিভি অনুষ্ঠানমালা, মেলা ও উৎসব, তৃণমূলে সচেতনতা, গবেষণা, প্রকাশনা, প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক, প্রাপ্তিই উৎসাহ, নেপথ্যের কথকথা ও রঙিন আলোকচিত্র।
বইটির সম্পাদকীয়তে উল্লেখ আছে, ২০০৮ সালে মুকিত মজুমদার বাবু পরিবেশ ও প্রকৃতিবিষয়ক অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেন। সেই লক্ষ্যে ২০০৯ সালের ৩ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠা করেন প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন। ২০১০ সালের ১ আগস্ট থেকে শুরু হয় ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের প্রথম জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ বিষয়ক নতুনমাত্রার ধারাবাহিক গবেষণাধর্মী, সচেতনতা সৃষ্টি ও শিক্ষামূলক ‘প্রকৃতি ও জীবন’ অনুষ্ঠান। সেদিনের অঙ্কুরিত বীজ সজীব সবুজ ডালপালায় আজ ছায়াবৃক্ষ।
বইটির দুই সম্পাদক আরো বলেন, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন শুধুমাত্র অনুষ্ঠানেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। বরং এই প্রতিষ্ঠানের গবেষণা, মাঠ পর্যায়ে পরিবেশ ব্যবস্থাপনা ও মৌলিক নীতি-নির্ধারণী কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে দেশের প্রকৃতি সংরক্ষণে। ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে প্রকৃতিবিষয়ক বই, ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘প্রকৃতিবার্তা’, জাতীয় দৈনিকে পাক্ষিক ‘প্রকৃতি ও জীবন’, গান, টেলিছবি ইত্যাদি।