প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে এলিয়ট
ট্রুডোকে মরণোত্তর ‘ বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ প্রদান করেছেন।
শুক্রবার মন্ট্রিলে হায়াত রিজেন্সি হোটেলে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে পিয়েরে
ট্রুডোর ছেলে ও কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কাছে
‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৭১ সালে
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন এবং বিশেষ অবদান রাখায় কানাডার সাবেক
প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোকে বাংলাদেশ সরকার এই সম্মাননা দেয়।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এবং অটোয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক সাংবাদিকদের জানান, সম্মাননা দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যে কয়েকজন বিশ্বনেতা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন পিয়েরে ট্রুডো তার মধ্যে অন্যতম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কয়েকটি দেশ প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় তার মধ্যে কানাডা অন্যতম। মুক্তিযুদ্ধের সময় পিয়েরে ট্রুডো আন্তজার্তিক পর্যায়ে বাংলাদেশের পক্ষে দৃঢ়ভাবে কথা বলেছেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিয়েরে ট্রুডো কমনওয়েলথ ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের জন্য খোলাখুলিভাবে সমর্থন দিয়েছেন।
সম্মননা গ্রহণের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘আমরা উভয়েই সেকেন্ড জেনারেশন। আপনার পিতা ও আমার পিতা দু’জনেই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।’
সম্মাননা প্রদানকালে উভয় প্রধানমন্ত্রীর পিতার বন্ধুত্বের সম্পর্ককে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে এই সম্মাননা গ্রহণ করায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে প্রধানমন্ত্রী তার কৃতজ্ঞতা জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার পরিবারের সদস্যদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা এবং বন্ধু রাষ্ট্র কানাডার উন্নয়ন-সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।
শেখ হাসিনা কানাডার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।