কোচ হিসেবে এই মুহূর্তে হাথুরুসিংহেই শ্রীলঙ্কার প্রথম পছন্দ। এই কথা স্বীকার করলেও কোচ হওয়ার ব্যাপারে তার সঙ্গে আলোচনা কতদূর গড়িয়েছে তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে দেশটির কর্মকর্তারা। বুধবার কলম্বোয় লঙ্কান ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে হাথুরুসিংহে সম্পর্কে জানতে চান সাংবাদিকরা। সেখানেও একই রকম আচরণ করেন বোর্ডের অনেক কিছু দেখভাল করা মন্ত্রী।
বাংলাদেশের সাউথ আফ্রিকা সফরের সময়ই বিসিবির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন হাথুরুসিংহে। এই খবর জানা যায় ৯ নভেম্বর। একই দিন ক্রিকইনফো জানায়, হাথুরুসিংহের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা করছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। পরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন পদত্যাগপত্র পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেন। হাথুরুর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক শেষ হয়েছে কি না, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। বাংলাদেশের সঙ্গে তার চুক্তি ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত।
শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী দাইয়াশ্রী জয়শেখর বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘সামনের বিশ্বকাপের জন্য আমাদের দলকে প্রস্তুত করতে অবশ্যই আমি হাথুরুসিংহেকে স্বাগত জানাবো। কিন্তু তার সঙ্গে আমাদের কী আলোচনা চলছে, সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’
আগে গত বছর অক্টোবরেও পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা কোচ হাথুরুসিংহে। সে সময় বিসিবির অনুরোধে থেকে যান।
তার অধীনে বাংলাদেশ ক্রিকেটবিশ্বের নতুন পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলেছেন মাশরাফীরা। হাথুরু প্রায়ই বলেন, ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে এই বাংলাদেশকে দিয়ে তিনি ক্রিকেটবিশ্বকে আরেকবার চমকে দিতে চান। যাওয়ার আগে এই বাংলাদেশকে ১৯৯৬ সালের ‘শ্রীলঙ্কা’ বানিয়ে যেতে চান।
মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরে যেয়ে হাথুরু আবার নিজ দেশে ফেরার কথা বলেন। ওই সময় ক্রিকইনফোর সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছিলেন, ‘যদি শ্রীলঙ্কা আমাকে স্মরণ করে, তাহলে অবশ্যই আমি ফিরবো।’
হাথুরুসিংহে শ্রীলঙ্কার হয়ে ২৬ টেস্ট এবং ৩৫টি ওডিআইতে মাঠে নামেন। খেলা ছাড়ার পর কোচিং পেশায় নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যান। বেশ কিছুদিন নিজ দেশের সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১০ সালে সেই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০১৪ সালে উচ্চ বেতনে বাংলাদেশের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।