আফগানিস্তানে ফিরেছেন কাতারে নির্বাসনে থাকা তালেবান শীর্ষ নেতারা। সরকারপ্রধান কে হবেন তা নিয়েও জল্পনা-কল্পনা চলছে। দু’দশক আগে মার্কিন অভিযানে দেশ ছেড়েছিলেন বেশিরভাগ তালেবান নেতা। এ সময়ে কাতারে প্রবাসী সরকার গঠন করেছিলেন তারা।
মঙ্গলবার কাতার থেকে কাবুলে ফিরে আসেন তালেবানের ডেপুটি ও সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদার। তার সাথে আফগানিস্তানে এসেছে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল।
তালেবান সরকারের সম্ভাব্য প্রধান হিসেবে বেশি আলোচনা হচ্ছে সংগঠনটির আমির আল-মু’মিনিন মাওলাওয়ি হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার নাম। ২০১৬ থেকেই তালেবানের প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে থাকা এই নেতা সংগঠনটির রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামরিক বিষয়েও চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী।
মঙ্গলবার কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কূটনৈতিক ও সাধারণ নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার কাজ আবারও শুরু হয়েছে। ২০ হাজার আফগানকে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্য। ৩ হাজার আফগানকে মানবিক কারণে ভিসা দেবে অস্ট্রেলিয়া।
আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর সংবাদ সম্মেলনে তালেবান নেতারা আশ্বাস দিয়েছেন, তাদের শাসনে আফগান নারীরা নিজেদের অধিকার ভোগ করতে পারবেন, তবে তা শরিয়া আইন মেনে। আফগান যুদ্ধকে মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ভুল বলেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০ হাজার আফগানকে শরণার্থী হিসেবে ঠাঁই দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আফগানিস্তানে যুদ্ধে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ভুল। ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি আরও অভিযোগ করেন, ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করে যুক্তরাষ্ট্র একটি নাজুক রাষ্ট্রকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।
ক্ষমতা গ্রহণের পর মঙ্গলবার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তালেবান নেতারা নারীদের অধিকারে বাধা না দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে শরিয়া আইনের বাধ্যবাধকতা থাকবে বলে জানান তারা। সবাইকে ক্ষমা করার ঘোষণা দিয়ে তারা জানিয়েছেন, ২০ বছর ধরে যারা বিদেশিদের সাহায্য করেছেন তাদেরও সুরক্ষা দেয়া হবে। আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটি হতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তালেবান নেতারা।