নিদ্রাহীনতার ফলে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যহানীর ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সুস্থ্যতার জন্য সুনিদ্রার প্রয়োজনীয়তা এবং নিদ্রাহীনতার চিকিৎসা, নিবারণ ও শিক্ষা জনগণের কাছে তুলে ধরতে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকায় পালিত হলো বিশ্ব নিদ্রা দিবস। এই উপলক্ষ্যে একটি কন্টিনিউইং মেডিকেল এডুকেশন’র (সিএমই) আয়োজন করা হয়।
সিএমইতে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা ও নিদ্রাহীনতা বিষয়ে মূল প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার রিস্পেরিটরি মেডিসিন বিভাগ’র সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এসএম আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ডা. জিয়াউল হক।
ডা. এসএম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সুনিদ্রা মানুষের দেহ ও মন দুটিই সতেজ-সুস্থ রাখে। ভালো ঘুম হলে দেহের মেটাবলিক ও হরমোনাল অ্যাক্টিভিটি এবং মানসিক প্রশান্তি নিশ্চিত হয়। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে শান্তি-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায় ও কর্মক্ষেত্রেও পারফরম্যান্স ভালো হয়।
ডা. জিয়াউল হক বলেন, ‘ঘুম মানুষের একটি গুরুত্বপূর্ণ শরীরতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। পরিমিত ঘুম হৃদরোগসহ নানা রোগের ঝুঁকি কমায়। শরীর সুস্থ রাখতে দৈনিক কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তবে ঘুম আর ভালো ঘুমের মধ্যেও রয়েছে পার্থক্য। ভালো ঘুম না হওয়ার প্রবণতা একটি গুরুতর রোগ। এটিকে কখনও অবহেলা করা উচিৎ নয় এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।’
এভারকেয়ার ঢাকা’র মেডিকেল সার্ভিসের ডেপুটি ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদসহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞ কনসালটেন্ট/চিকিৎসকবৃন্দ সিএমইতে অংশগ্রহণ করেন।
সুনিদ্রার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে ২০০৮ সাল থেকে বিশ্ব নিদ্রা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অফ স্লিপ মেডিসিন।