কয়েকজন নারী সাংবাদিককে যৌন হয়রানির অভিযোগ মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন জাপানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ আমলা জুনিচি ফুকুদা।
ফুকুদা অবশ্য হয়রানির এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাপানের একটি ম্যাগাজিন।
তবে সেই ম্যাগাজিন কর্তৃপক্ষেরই দাবি, ফুকুদার বিরুদ্ধে প্রমাণ আছে তাদের কাছে।
জুনিচি ফুকুদার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বেশ কয়েকজন নারী সাংবাদিকের সঙ্গে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলেছেন। ‘শুকান শিনচো’ নামের একটি জাপানি সাময়িকীতে প্রথম এ অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
লিখিত প্রতিবেদন ছাড়াও চলতি সপ্তাহের শুরুতে ম্যাগাজিনটি একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে যেখানে একজন পুরুষকে একজন নারীকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর প্রস্তাব দিতে শোনা যায়। দাবি করা হয়েছে, সেই ক্লিপে থাকা পুরুষ কণ্ঠটি ফুকুদার।
ফুকুদা এর প্রতিবাদ করে তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি পদত্যাগ করছেন শুধু যেন মন্ত্রণালয়ের দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত না হয়। বিশেষ করে এখন যেহেতু মন্ত্রণালয় একটি গুরুতর সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে তার বিরুদ্ধে আনা স্বজনপ্রীতির অভিযোগ থেকে বাঁচানোর জন্য দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় বেশ কিছু প্রমাণ ও দলিলপত্রে পরিবর্তন এনেছে, এমন অভিযোগে ইতোমধ্যে তোপের মুখে আছে মন্ত্রণালয়।
তার ওপর নতুন এই জটিলতা নিয়ে খানিকটা বিপদেই রয়েছে সরকার।
ভিন্ন আরেক ঘটনায়, জাপানের এক গভর্নর নারীদের অর্থ দেয়ার বিনিময়ে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
জাপানের সমাজ বহু আগে থেকেই যথেষ্ট রক্ষণশীল। তাই পশ্চিমা বিশ্বসহ বিভিন্ন দেশের তুলনায় এ দেশে যৌন হয়রানির প্রতিবাদ হিসেবে মি টু হ্যাশট্যাগ আন্দোলন শুরু হতে অনেকটাই দেরি হলো।