মার্কিন সেনাবাহিনী বিতর্কিত একটি প্রতিরক্ষা মিসাইল ব্যবস্থা সাউথ কোরিয়ায় স্থাপন শুরু করেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ‘থার্মাল হাই-অল্টিচ্যুড এরিয়া ডিফেন্স সিস্টেম’ (থাড – Thaad) নামের এই মিসাইল ব্যবস্থাটি নর্থ কোরিয়ার হামলা থেকে নিজেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সোমবার নর্থ কোরিয়া চারটি ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণের পরদিনই এই ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র।
ইউএস প্যাসিফিক কমান্ড বলেছে, ওই মিসাইল উৎক্ষেপণই প্রমাণ করে, সাউথ কোরিয়ায় থাড স্থাপনের ব্যাপারে গত বছর তাদের জোটের নেয়া সিদ্ধান্ত কতটা দূরদর্শী ছিল। ‘আমাদের নিজেদের, সম্পূর্ণ আমেরিকান ভূখণ্ড এবং আমাদের মিত্রদের রক্ষা করার উদ্দেশ্যে আমরা অবিচলভাবে সাউথ কোরিয়ার সঙ্গে আমাদের যৌথ অঙ্গীকারগুলোর সম্মান রেখে যাবো,’ বলেছেন সাউথ প্যাসিফিক কমান্ডের প্রধান অ্যাডমিরাল হ্যারি হ্যারিস।
তবে সাউথ কোরিয়ায় তার প্রতিপক্ষ নর্থ কোরিয়ার বিরুদ্ধে মিসাইল সিস্টেমটি স্থাপন শুরু হলেও নর্থ কোরিয়ার সঙ্গে সাউথ কোরিয়ারও অনেকেই এতে ক্ষুব্ধ বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিশ্বজুড়ে অনেক দেশই এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। চীন তীব্রভাবে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সাউথ কোরিয়ায় আমেরিকার এই মিলিটারি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপনের। তাদের দাবি, এটি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তির এক ধরণের সীমালঙ্ঘন। অন্যদিকে অনেক সাউথ কোরীয় আশঙ্কা করছেন, এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আজ হোক, কাল হোক, শত্রুর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে। এতে সামরিক অঞ্চলের আশপাশে বসবাসকারী মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়বে।