দেশের ফুটবলের অবস্থার পরিবর্তনে অস্ট্রেলিয়ান কোচ অ্যান্ড্রু অর্ডের ওপর ভরসা রেখেছে বাফুফে। দায়িত্ব নিতে এসে অর্ড জানালেন, তার বিশ্বাস বাংলাদেশেও ফুটবল প্রতিভা আছে। আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের ফুটবলকে একটি কাঠামোর মধ্যে আনারও প্রত্যয় ঝরল এই অজির কণ্ঠে।
সবকিছু চূড়ান্তই ছিল। জাতীয় দলের কোচ হিসেবে কেবল আনুষ্ঠানিক নিয়োগটাই ছিল বাকি। অ্যান্ড্রু অর্ডের সঙ্গে বুধবার সেটিও সেরে ফেলল দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি।
দায়িত্ব নিয়ে অর্ড বললেন, ‘এত বড় একটি দেশ। আমি বিশ্বাস করি অনেক ফুটবল প্রতিভা আছে এখানে। আমাদের কাজ হবে সম্ভাবনাময় সেই তরুণদের খুঁজে বের করা। তাদের প্রস্তুত করা।’
এশিয়ার ফুটবল সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকায় সাফ মিশনকে সামনে রেখে এক বছরের জন্য অর্ডের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাফুফে। এই সময়টায় কি ঘটবে, কি ঘটবে না সেসব নিয়ে ভাবতে চান না নবনিযুক্ত এই কোচ, ‘আগামী এক বছরের জন্য আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই সময়টাতে সাফল্য-ব্যর্থতা কি এল সেটি নিয়ে ভাবছি না। আমি চাই সময়টাতে দলকে একটা কাঠামোয় দাঁড় করাতে।’
শূন্যে ভাসতে থাকা দেশের ফুটবলের নতুন কোচের মূল লক্ষ্য ২০১৮’র মার্চ-এপ্রিলে হতে যাওয়া সাফ ফুটবল। তার আগে প্যালেস্টাইনে অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপ এবং বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট থেকে জাতীয় দলের জন্য খেলোয়াড় নির্বাচন করতে চান অর্ড।
তবে ফেডারেশন থেকে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিলেও খেলোয়াড়দের মাঠের পারফরম্যান্স ছাড়া যে সাফল্য সম্ভব নয়, সেটিও মনে করিয়ে দিলে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
সাফল্যটা মাঠে টেনে আনার জন্যই গেল দু’বছরে বাংলাদেশের ফুটবলের ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণের মাঝে তিন বিদেশী কোচ বিদায়ের পরও কোচিং স্টাফে একজন বিদেশী কোচ। অজি এবং থাই ক্লাবগুলোতে কাজের সুবাদে এশিয়ান ফুটবল নিয়ে ভালোই ধারণা আছে অর্ডের। ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজমেন্টের হয়ে কাজ করেছেন তিনি।
বাফুফে বলছে, মাঠে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স ছাড়া যখন কোন বিকল্প নেই। তাই আগামী ১২ জুন শুরু হতে যাওয়া প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল থেকে তরুণ এবং প্রতিভাবান ফুটবলারের খোঁজেও মাঠে উপস্থিত থাকবেন অর্ড।
এর আগে কোন জাতীয় দলের দায়িত্ব পালন করেননি অস্ট্রেলিয়ান কোচ অর্ড। ফুটবলার হিসেবে খেলেছেন আধাপেশাদার লিগে। ২০১৩ সাল থেকে সহকারী কোচ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার ‘এ’ লিগের দল পার্থ গ্লোরিকে কোচিং করানো ছাড়াও এশিয়ার বিভিন্ন ক্লাবে দায়িত্ব পালনের অতীত অভিজ্ঞতা আছে তার।
অর্ড থাইল্যান্ড ফুটবল দলের এনালিস্ট হিসেবেও কাজ করেছেন। মায়ানমারে একটি ফুটবল একাডেমির আংশিক মালিকানাও আছে ৩৭ বছর বয়সী এই কোচের। তিন বছর কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন থাইল্যান্ডের দুটি ক্লাবে।