নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধে শুধু নীতিমালা ও আইন করলেই চলবে না। প্রয়োজন আইনের সঠিক প্রয়োগ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির। নারীর চলাফেরা এবং ঘরে বাইরে নিরাপত্তার জন্য সরকার, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, যানবাহনের মালিক-শ্রমিকসহ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বনানী ক্লাব মাঠে একশনএইড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন উন্নয়নকর্মী, শিক্ষক, মানবাধীকার কর্মী ও ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র আনিসুল হক। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে নারীর জন্য নিরাপদ নগরী নিশ্চিত করা।
একশনএইড বাংলাদেশের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, নগরের প্রায় ৮৮ ভাগ নারী পথচারী, পুরষ-যাত্রী এবং ক্রেতাদের দ্বারা হয়রানির শিকার হন। নগরের ৪৭.৫ ভাগ নারী গণপরিবহন, রাস্তা কিংবা উন্মুক্ত জনবহুল এলাকায় চলাফেরা করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। নিরাপত্তাহীনতার কারণে ৬০ ভাগ নারী রাতে ঘরের বাইরে একা যেতে চান না।
‘১৬ দিনব্যাপী নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ’-এর আলোচনায় তাই নারীর নিরাপত্তার বিষয়টিই বারবার উঠে আসে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেন,‘নারীর নিরাপত্তায় আমাদের দেশে আইন আছে। তবে তার দৃষ্ঠান্তমূলক বাস্তবয়ন হয় না বলেই নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন।
নগরীতে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে মেয়র আনিসুল হক বলেন, “আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ঢাকা শহরে প্রায় ৩ হাজার যাত্রীবাহী বাস নামানো হবে। যার ব্যবস্থাপনা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবো আমরা। নারী বান্ধব ও নারীর জন্য আলাদা বাস সার্ভিসের ব্যবস্থার জন্য মালিকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে”।
নারী নেত্রীখুশী কবির বলেন, “নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে অঙ্গীকার করা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়িত্বশীল হতে হবে”।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক একশনএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, ‘শহরে নারীর নিরাপত্তা বাড়াতে নারী বান্ধব গণপরিবহণ নিশ্চিত করতে হবে। নারীর নিরাপত্তার জন্য শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসিটিভির মাধ্যমে অপরাধীদের সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে’।