জাপানের বৈশ্বিক এয়ার স্পেসালিস্ট ডাইকিন বাংলাদেশের বাজারে ৯টি মডেলের এয়ার কন্ডিশনার (এসি) উন্মোচন করেছে।
এরমধ্যে ইনভার্টার ও নন-ইনভার্টার উভয় ধরনের মডেলই রয়েছে। ডাইকিনের তৈরি এই রুম এয়ারকন্ডিশনার বাজারজাতকরণ কার্যক্রমের স্থানীয় অংশীদার হয়েছে ট্রান্সকম ইলেক্ট্রনিকস লিমিটেড।
ডাইকিনের এসিতে গ্লোবাল ওয়ার্মিং পোটেনশিয়ালের (জিডব্লিউপি) মাত্র এক-তৃতীয়াংশ বহন করে। এই এসিগুলোতে বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব কম। এসব এসি বেশ জ্বালানি সাশ্রয়ী।
এইচএফসি৩২ প্রযুক্তিতে তৈরি করার ফলে যন্ত্রপাতিগুলো ব্যবহারের সময় জ্বালানি উৎসগুলো থেকে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ কম হয় এসব এসিতে।
এসিগুলোর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ডাইকিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনোজ আগরওয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশে জাপানি প্রযুক্তিতে তৈরি ডাইকিন এসির বিশাল বাজার রয়েছে। এই বাজার আরো সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আমরা ২০২১-২২ সালে নতুন নতুন মডেলের পণ্য এখানকার গ্রাহকদের জন্য নিয়ে আসতে চাই।’
ডাইকিনের নতুন এসিগুলো গুণেমানে অনন্য এবং দ্রুত চারপাশের পরিবেশকে শীতল করে তোলে, যা ব্যবহাকারী ভোক্তা ও সেখানে অভ্যাগতদের বেশ আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করার দারুণ অভিজ্ঞতা দেয়।
নতুন নতুন মডেলের এসিগুলো তৈরির ডিজাইন বা নকশায় যেমন যথেষ্ট নান্দনিকতা রয়েছে তেমনি এগুলোর কার্যক্ষমতা ও কার্যকারিতা অসাধারণ।
এসব এসি বাজারজাতকরণ উপলক্ষে ডাইকিন দেশের বড় বড় শহরগুলোতে ১৫০ জনেরও বেশি ইনস্টলার কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা নিঃখুঁতভাবে এসি স্থাপন করতে ও কোনো ত্রুটি দেখা দিলে তা দক্ষতার সাথে সারাই করতে পারেন। এভাবে সকল কাস্টমারের জন্য এসি সেবা নিশ্চিত করতে চায় ডাইকিন।
বাংলাদেশে ডাইকিনের নতুন বাজারজাতকৃত ইনভার্টার স্প্লিট এসিগুলোর দাম সর্বনিম্ন ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু হবে।
ডাইকিনের সাথে এই অংশীদারিত্ব সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে ট্রান্সকম ইলেক্ট্রনিকস লিমিটেডের ডিরেক্টর অপারেশন্স ইয়ামীন শরিফ চৌধুরী বলেন, ‘জাপানি প্রযুক্তিতে তৈরি ডাইকিন এয়ারকন্ডিশনার (এসি) বাংলাদেশের বাজারে এখন অত্যন্ত সমাদৃত ও নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড। গ্রাহকদের জন্য উন্নতমমানের এসি সরবরাহ নিশ্চিত করতে যা যা করা প্রয়োজন তার সবই করছে ডাইকিন। ট্রান্সকম ইলেক্ট্রনিকস ও ডাইকিন গ্রাহকদের সম্ভাব্য সর্বোত্তম গুণমান সম্পন্ন এসি ও এসির বাতাস নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই এডভান্সড ফিল্টার ক্লিনিং টেকনোলজি, রেফ্রিজারেন্ট, সার্ভিস কোয়ালিটি সব ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ মান রক্ষা করা হয়েছে ডাইকিন এসি তৈরিতে।’