গ্রীষ্মকালীন দাবানলে স্পেন ও পর্তুগালে কমপক্ষে ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এর মধ্যে পর্তুগালেই নিহত হয়েছেন ৩১ জন।
দাবানলের কারণে কোন কোন এলাকায় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠাও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে কয়েক হাজার ফায়ার সার্ভিস কর্মী।
কমপক্ষে ১৪৫ টি দাবানলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে, যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এছাড়া ইউরোপরে দিকে ধেয়ে আসা হারিকেন ওফেলিয়ার কারণে আগুন ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে। তবে রাতের দিকে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিবিসি জানায়।
এর আগে রোববার থেকে পর্তুগালের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। উত্তরাঞ্চলের আগুন ছড়িয়ে পড়ে স্পেন সীমান্তেও। স্পেনের গ্যালিসিয়ায় সড়কের পাশে গাড়িতে মৃত অবস্থায় দুইজনকে পাওয়া যায়।
পর্তুগালের কোইমব্রা, গুয়ারদা, ক্যাসটেলো ব্রানসা এবং ভিসেও এলাকায় ৩১ জন নিহত হয়। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৫০ জন। এদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা গুরুতর। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও অনেকে, এদের মধ্যে এক মাস বয়সী শিশুও রয়েছে।
দাবানলের কারণে পর্তুগালের তাগুস নদীর উত্তরাঞ্চলে স্থলবেষ্টিত এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে সরকার। এছাড়া স্পেনের প্রধানমন্ত্রী গ্যালিসিয়া এলাকা পরিদর্শন করে জরুরি বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।