বাংলাদেশের শিল্পী, নির্মাতাদের নির্মিত কনটেন্ট ঢাকা মেট্রো, মানিহানি, একাত্তর, তাকদীর, কষ্টনীড়। এবার ‘মহানগর’ দিয়ে আবারও আলোচনায় ওটিটি প্লাটফর্ম হইচই।
অ্যাপটির পৃষ্ঠপোষকতায় দর্শকরা মানসম্মত এসব কনটেন্ট দেখে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন। দিনে দিনে আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভিডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম হইচই।
গেল সপ্তাহে আশফাক নিপুণের পরিচালনায় ‘মহানগর’ ওয়েব সিরিজটি ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, পশ্চিমবঙ্গসহ প্রবাসী বাংলা ভাষাভাষীরা কনটেন্টটির প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
হইচই বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাকিব আর খানের সঙ্গে কথা হয় চ্যানেল আই অনলাইনের। তিনি যেমনটা বলছিলেন, ‘মহানগর’ এর গল্প, চিত্রনাট্য সবকিছুর ক্রেডিট আশফাক নিপুণের। তিনি এই গল্প বিশ্বাস করেছেন এবং আমরা (হইচই কর্তৃপক্ষ) তাকে বিশ্বাস করেছি।
তিনি বলেন, দেড় লাইনে আমাদের তাকদীরের গল্প শোনানো হয়েছিল। এরপরেই আমরা হ্যাঁ বলে দিয়েছিলাম। ‘মহানগর’ এর ক্ষেত্রেও তাই।
তিনি বলেন, মহানগরের গল্প যখন জানি, এর অন্য একটি নাম ছিল। কিন্তু হইচই এর আরেক কনটেন্টের সাথে কিছুটা মিলে যাওয়ায় পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে ‘মহানগর’ নামটা আশফাক নিপুণের দেয়া। এর আগে তিনি আমাদের সঙ্গে ‘কষ্টনীড়’ করেছিলেন। তার কাজ নিয়ে বলার কিছু নেই।
কোনো জিনিস হঠাৎ করে ভালো হয়ে যায় না। এর পিছনে ছোটবড় একাধিক মানুষের শ্রম কাজ করে। গত চারমাস ধরে আশফাক নিপুণ এবং তার টিম অনেক পরিশ্রম করেছেন। মুক্তির আগে শেষ কয়েকদিন আশফাক নিপুণ টানা ৩২ ঘণ্টা ঘুমাননি। পুরো কাজটি উনি সুনিপুণ ভাবেই করেছেন। এটি দেখার জন্য মানুষ তার জীবন থেকে তিন ঘণ্টা সময় দিচ্ছেন। এরপর ফেসবুকে ভালো মতামত লিখছেন। এই মূল্যায়ণ আসলে টাকা দিয়ে পাওয়া যায় না। এটা অনেক কিছু। বলছিলেন সাকিব।
হইচইয়ের এই কর্তাব্যক্তি বলেন, ওয়েব কনটেন্ট লোকালি বানানো হলেও এর ব্যাপ্তী হতে হবে বিশ্বব্যাপী। হইচইয়ের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলা কনটেন্টকে বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া। সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিটি নতুন কাজে আগের চেয়ে উন্নতি করার চেষ্টা করি। মানুষের কাছে হইচই একমাত্র অ্যাপ নয়, কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ হয় সেই লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, হইচই মানেই মানসম্মত কনটেন্ট মানুষ যেন এটা মনে করে। তাকদীরের পর মহানগর দেখে মানুষ এভাবেই মূল্যায়ণ করছেন। এটা আমাদের দায়িত্ববোধ অনেক বাড়িয়ে দিচ্ছে।