ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)’র ২০১৫ সালের বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন চ্যানেল আইয়ের সিনিয়র রিপোর্টার জান্নাতুল বাকেয়া কেকাসহ ২৬ জন সাংবাদিক। মুক্তিযুদ্ধে বীরঙ্গনা নারীদের নিয়ে তিন পর্বের ধারাবাহিক রিপোর্টের জন্য তিনি এই অ্যাওয়ার্ড পান।
তিনি ছাড়াও প্রিন্ট মাধ্যমে দৈনিক প্রথম আলোর শরিফুজ্জামান পিন্টু, ইংরেজী দৈনিক দি ডেইলি স্টারের পিনাকি রায় এবং যমুনা টেলিভিশনের মাহফুজ মিশু, এনটিভির’র রোকনুজ্জামান এবং বিবিসি’র আহরার হোসেন ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন।
প্রতিবছরের মতই এবারো ‘ডিআরইউ’র বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়াড ২০১৫’র প্রিন্ট মিডিয়ার জন্য তেরোটি, টেলিভিশন রিপোর্টিংয়ে নয়টি, বেতারে একটি এবং অনলাইনে তিনটি এই চারটি আলাদা মাধ্যমে ২৬ টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হয়।
রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সম্মাননার ক্রেস্ট,সনদ এবং পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন গণমাধ্যমের স্বার্থে তথ্যমন্ত্রনালয় আলাদা ভাবে বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড প্রদান করবে। মন্ত্রনালয় নয়, একটি স্বাধীন নিরপেক্ষ জুরি বোর্ডের তত্তাবধায়নে সেরা রিপোর্ট বাছাই করা হবে।
জান্নাতুল বাকেয়া কেকা ইতিমধ্যেই ‘স্বাস্থ্য বিষয়ে’ ‘জাতি সংঘ জনসংখ্যা উন্নয়ন বিষয় তহবিল’-ইউএনএফপিএ, ইউনিসেফ’র মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড এবং ‘পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’সহ একাধিক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। তবে এবারই প্রথম স্বাস্থ্য বিষয়ের বাইরে ‘মুক্তিযুদ্ধ ইস্যুতে’ রিপোর্টারদের সংগঠন ডিআরইউ’ অ্যাওয়ার্ড পেলেন। জান্নাতুল বাকেয়া কেকা বলেন, ১৮ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ঐতিহাসিক দু’টি রায়ের পরদিন মুক্তিযুদ্ধে মানবতা লংঙ্ঘনের শিকার ৭১’র নির্যাতিত বীরঙ্গনা-বীরমাতাদের নিয়ে করা রিপোর্টের জন্য ডিআরইউ’র সম্মাননা জাতীয় আশা-আকাঙ্খার সঙ্গে ব্যক্তি কেকার আনন্দ মিলেমিশে একাকার হয়েছে।
তিনি জানান, তার তিনটি ধারাবাহিক রিপোর্টের ভিত্তিতে বীরমাতাদের বিনামুল্যে চিকিৎসা দেবার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেয় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়, অপর একটি রিপোর্ট প্রচারের পর একজন শিল্পপতি ব্যক্তি উদ্যোগে বীরমাতাদের গৃহ নির্মানে এগিয়ে আসেন। সর্বশেষ রিপোর্টে ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের’ পক্ষে বীরমাতাদের ‘মুক্তিযোদ্ধা খেতাব’ প্রদানে সুপারিশ তুলে ধরে। সম্প্রতি সরকার বীরমাতাদের মুুিক্তযোদ্ধা খেতাবে ভূষিত করে’।