রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেনের গাড়িতে হামলা চালানোর যে অভিযোগ পাওয়া গেছে সে সম্পর্কে অবগত নয় নির্বাচন কমিশন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ কথা বলেন।
শুক্রবার সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর ফিরে আসার পথে ড. কামালের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ড. কামাল কবর স্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধান গেট দিয়ে বের হচ্ছিলেন। এসময় তার উপর লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলার সময় তার নেতাকর্মীরা ড. কামাল হোসেনকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদেরও বেধড়ক পেটানো হয়। এতে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে বেশ কয়েকটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করা হয়। গুরুতর আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভোটের মাঠে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক জোটের নেতা ড. কামাল হোসেন এর ওপর হামলার বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, এ বিষয়টি আমরা অবগত নই। কেউ লিখিত ভাবে কোনো অভিযোগ করেননি।
ড. কামাল হোসেনের গাড়ি ছাড়াও আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, জগলুল হায়দার আফরিকের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এতে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন।
এর মধ্যে আ স ম আবদুর রবের গাড়ি চালককে আহত আবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় বলে জানা গেছে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, বৃহস্পতিবার যে সভা হয়েছিল সেখানে মাননীয় কমিশনারগণ পুলিশর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের অত্যন্ত কড়া ভাষায় বলেছেন, অহেতুক যেন কাউকে হয়রানী করা না হয় এবং বিনা ওয়ারেন্টে যেন কাউকে গ্রেপ্তার করা না হয়।
তিনি বলেন, ৩০০টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রায় ১৮৪৬ জন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। তার সঙ্গে আরো অনেক লোক প্রচারে অংশগ্রহণ করছে। বিপুল জনগোষ্টির এ দেশে এ ধরনের একটি বা দুটি ঘটনা ঘটতে পারে।