নির্ধারিত সময় শেষে স্কোরলাইন ছিল ১-১। প্রথম লেগের ম্যাচ অমীমাংসিত থাকায় তা অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। তাতেও ফল না আসায় দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৪ ব্যবধানে সমতা থাকায় খেলা টাইব্রেকারে গড়ায়। ম্যানচেস্টার সিটিকে পেনাল্টি শ্যুট আউটে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় রিয়াল মাদ্রিদ।
আসরের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের আর্সেনালের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে বায়ার্ন মিউনিখ। দুই লেগ মিলিয়ে বায়ার্ন ৩-২ ব্যবধানে জয়ী হয়ে সেমিতে প্রতিপক্ষ হিসেবে রিয়ালকে পেয়েছে।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১২ মিনিটেই লিড পায় রিয়াল। ডানপায়ের শটে বল জালে জড়িয়ে স্বাগতিক দর্শকদের চুপসে দেন রদ্রিগো।
ম্যানসিটি খেলার অধিকাংশ সময় আধিপত্য ধরে রেখেছিল। ৬৭ শতাংশের বেশি সময় বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে একের পর এক আক্রমণ গড়লেও সহজে সমতা টানতে ব্যর্থ হচ্ছিল। লস ব্লাঙ্কোসদের রক্ষণ দুর্গ ভাঙা হইয়ে উঠেছিল দুঃসাধ্য।
দ্বিতীয়ার্ধে অপেক্ষার অবসান ঘটায় সিটি। অ্যান্টনিও রুডিগারের ভুলের সুযোগে ডানপায়ের উঁচু শটে বল জালে জড়িয়ে ম্যাচে সমতা টানেন কেভিন ডি ব্রুইনা।
অতিরিক্ত সময়ে ফল না আসায় ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ায়। প্রথম শটে জুলিয়ান আলভারেজ লক্ষ্যভেদ করলেও রিয়ালের লুকা মড্রিচের শট ঠেকান ম্যানসিটি গোলরক্ষক এডেরসন। এরপর বের্নার্দো সিলভার কিক প্রতিহত করেন রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রে লুলিন, লক্ষ্যভেদে সক্ষম হন জুড বেলিংহ্যাম।
মাতেও কোভাসিচের শট লুলিন ঠেকানোর পর লুকাস ভাসকুয়েজ জালের দেখা পেলে রিয়াল ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। পরে ফিল ফোডেন ও এডেরসন নিশানাভেদ করেন। রিয়ালের হয়ে নাচো ও সবশেষে রুডিগার বল জালে পাঠিয়ে রিয়ালের জয় নিশ্চিত করেন।
এদিকে, আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ৬৩ মিনিটে রাফায়েল গুয়েরিওর ক্রসে বল নিয়ে হেডে নিশানাভেদ করেন জশুয়া কিমিচ। তাতেই একমাত্র গোলের জয়ে সেমিতে পা দেয় বায়ার্ন।