আদালতে দেয়া সাক্ষ্যে একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলাকে গণহত্যা বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেছেন, জোট সরকারের ছত্রছায়ায় নিরস্ত্র মানুষের ওপর সামরিক আদলের ওই হামলা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল।
একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার ২০৩ নম্বর সাক্ষী বর্ষীয়ান এ নেতা। সোমবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ এজলাসে সাক্ষ্য দেন তিনি।
ওই গ্রেনেড হামলায় আহত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, নিরস্ত্র মানুষের ওপর সামরিক জঙ্গিবাদীদের এমন ধরনের হামলা নজিরবিহীন।
তিনি বলেন, ‘নিরস্ত্র জনসমাবেশে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় যখন সামরিক কায়দায় হামলা হয় তা মানবিকতার কোনো সংজ্ঞাতেই পড়ে না। অমানবিকভাবে-পাশবিকতার সঙ্গে নির্বিচারে এতোগুলো মানুষ হত্যাকে এক’শবার বলবো এটি গণহত্যা, এটি জেনোসাইড’।
সুরঞ্জিত আরো বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ড ছিলো সুপরিকল্পিত, সুচিন্তিত। রেকি করে চালানো ওই হামলা সামরিক জঙ্গিবাদ’।
আংশিক সাক্ষ্য দেয়ার পর শারীরিক অসুস্থতার কারণে জবানবন্দি শেষ করতে পারেননি তিনি। মঙ্গলবার অবশিষ্ট সাক্ষ্য দিতে আবারো আদালতে যাবেন।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান জানান, ‘আজ সাক্ষ্য শেষ হয়নি। আগামীকাল তারিখ আছে। কালকে সাক্ষী আবার আদালতে আসবেন, সাক্ষ্য দেবেন। তারপর জেরা হবে’।
শুনানিতে লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টু, মুফতি হান্নানসহ কারাগারে আটক আসামীদের আদালতে হাজির করা হয়।