‘পাখ-পাখালি দেশের রত্ন, আসুন করি সবাই যত্ন’ এই স্নোগানে আগামী ৬ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে ১৬ তম ‘পাখিমেলা-২০১৭’।
পাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ এই মেলার আয়োজন করেছে।
মঙ্গলবার বিকালে নতুন কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জেেএক সংবাদ সম্মেলনে মেলার আহবায়ক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান।
দিনব্যাপী পাখিমেলার নানান আয়োজনের মধ্যে থাকছে, আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় পাখি দেখা প্রতিযোগিতা, শিশু-কিশোরদের জন্য পাখির ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, টেলিস্কোপে শিশু-কিশোরদের পাখি পর্যবেক্ষণ, পাখির আলোকচিত্র ও পত্র-পত্রিকা প্রদর্শনী বিষয়ক স্টল সাজানো প্রতিযোগিতা, অডিও-ভিডিও-এর মাধ্যমে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় পাখি চেনা প্রতিযোগিতা এবং সবার জন্য উন্মুক্ত পাখি-বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা।
সবশেষে রয়েছে পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান। এবারের মেলায় নতুন আকর্ষণ হিসেবে থাকছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাখি বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন ও নতুন প্রজাতির পাখি উদ্ভাবনের জন্য ‘বিগবার্ড অ্যাওয়ার্ড’র ঘোষণা।
মেলার আহবায়ক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান বলেন, বিগত দেড় দশক ধরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাখি মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এটি একটি সার্বজনীন মেলা। পাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে।
ওইদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে পাখিমেলার উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম।
পাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০১ সাল থেকে ক্যাম্পাসে ধারাবাহিকভাবে পাখি মেলার আয়োজন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ ও ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টার।