নর্থ কোরিয়া বলেছে, জাপানের আকাশসীমার ওপর দিয়ে মিসাইল ছোড়া ছিল প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাদের সামরিক কর্মকাণ্ডের প্রথম ধাপ। এর মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরণের আরও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরিকল্পনার সংকেত দিলো দেশটি।
নর্থের রাষ্ট্রীয় নিউজ নেটওয়ার্ক কেসিএনএ-ও এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত অঞ্চলে অবস্থিত দ্বীপ গুয়ামকে অন্য দেশে আক্রমণ চালানোর উন্নত ঘাঁটি হিসেবে উল্লেখ করে সেখানে হামলা চালানোর হুমকি আবার দিয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালের দিকে ওই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে দেশটি। মিসাইল জাপানের উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে অতিক্রম করে হোক্কাইডো উপকূলের কাছে সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতভাবে এই মিসাইল পরীক্ষার জন্য নর্থ কোরিয়ার প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। মঙ্গলবারই দিনশেষে নিউইয়র্কে আয়োজিত বৈঠকে এ ঘটনাকে ‘জঘন্য’ উল্লেখ করে নর্থ কোরিয়ার প্রতি সব ধরণের মিসাইল পরীক্ষা বন্ধ করতে দাবি জানানো হয়।
তবে নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে এ-ও বলা হয়, নর্থ কোরিয়ার কর্মকাণ্ড জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ হলেও পিয়ংইয়াংয়ের ওপর আরোপিত নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলোর ওপর এর কোনো প্রভাব পড়বে না।
তবে রাশিয়া ও চীন বলেছে, কোরীয় উপদ্বীপ াঞ্চলে অস্থিরতা বৃদ্ধির জন্য মার্কিন সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডও আংশিকভাবে দায়ী। সমস্যা সমাধানে আলোচনা ও পারস্পরিক বোঝাপড়া প্রয়োজন বলে দেশ দু’টির পক্ষ থেকে বলা হয়।