১৯৭১ সালে যখন জনযুদ্ধে বাংলাদেশ, তখন মুজিবনগর সরকারের কাজকর্ম পরিচালিত হতো কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। বাংলাদেশের জন্মকথার অফুরন্ত ইতিহাসের প্রামাণ্য দলিল বহন করছে শহর কলকাতা। কেমন আছে সেইসব বাড়ি যেখানে থাকতেন জাতীয় চার নেতা, যেখান থেকে চলতো বাংলাদেশ সরকারের সব কার্যক্রম?
বাংলাদেশের জন্মে শ্রেষ্ঠতম সাক্ষী হয়ে থাকা কলকাতার এই ঐতিহাসিক জায়গাগুলো ঘুরে দেখার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়ালেন সেই সময় যুদ্ধমাঠের খবর আনা আনন্দবাজারের সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশ গুপ্ত। বরিশালের ঝালকাঠিতে জন্ম নেয়া সুখরঞ্জনকে সঙ্গে নিয়ে শুরু কলকাতার বুকে বাংলাদেশের ইতিহাস জানা। প্রায় ৮৫ বছর বয়সেও ঝকঝকে স্মৃতিতে উজ্জল তার একাত্তর।
এই শহরের বুকে এখনো ঠায় দাঁড়িয়ে আছে সেসব স্থাপনা যার প্রত্যেকটিই এক একটা ছোট বাংলাদেশ।৮ নম্বর থিয়েটার রোড, এখন যার নাম শেক্সপিয়ার সরণী।
এই বাড়িটি ছিল প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী প্রধান কার্যালয়। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, অর্থমন্ত্রী এম মনসুর আলী ও প্রধান সেনাপতি কর্নেল এম এ জি ওসমানীর দপ্তর।
এই ভবন থেকে পরিচালিত হতো অর্থ, ক্যাবিনেট, স্বরাষ্ট্র, পরিকল্পনা, প্রতিরক্ষা, কৃষি ও সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনসহ ৭টি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম। ঐতিহাসিক ভবনটি বর্তমানে অরবিন্দ আশ্রম। বাংলাদেশ মিশন চেষ্টা করছে ভবনের কিছু অংশ বাংলাদেশের করে নিতে।
এরপর ৩/১ ক্যামাক স্ট্রিটের পথে যাত্রা। এখান থেকে পরিচালিত হত রিলিফ ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম। এই ভবনটিও হাতছাড়া হয়ে গেছে।
৩৯ নম্বর ডক্টর সুন্দরী মোহন এভিনিউ। বহুতল এই ভবনে বাস করতেন জাতীয় চার নেতার পরিবারসহ খন্দকার মুশতাকের পরিবার। সাত তলা ভবনের ১৩টি ফ্ল্যাটের ৫২টি কক্ষ বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা করে দেয়। ইতিহাসের কথা বলা এই ভবনটিও ব্যক্তি মালিাকনায় চলে গেছে।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময় সাংবাদিক সুখরঞ্জনের লেখা ‘মিড নাইট ম্যাসাকার ইন ঢাকা’ বইটি নিষিদ্ধ করেছিলেন জিয়াউর রহমান।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: