ভারতের মুম্বাইয়ে জ্যেষ্ঠ সহকর্মীদের নিয়মিত বিদ্রুপের শিকার এক নারী চিকিৎসকের আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে তিন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ২২ মে বুধবার রাতে হাসপাতালের হোস্টেলে পায়েল সালমান তাদভি (২৬) নামের ওই নারী চিকিৎসক আত্মহত্যা করেন।
তিনি মুম্বাইয়ের কেন্দ্রে সরকার পরিচালিত বি ওয়াই এল নায়ার হাসপাতালে স্ত্রীরোগবিদ্যার ওপর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করছিলেন।
তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তার এক সহকর্মী ভক্তি মেহেরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরপর সোমবার রাতে আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহতের স্বামী এবং মা অভিযুক্ত তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি করেছেন।
তার স্বামী বলেন, পায়েল নিম্নবর্গের জন্য সংরক্ষিত ক্যাটাগরিতে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। এ নিয়ে ওই তিন চিকিৎসক তাকে ক্রমাগত ব্যঙ্গ–বিদ্রুপ করতেন। তারা পায়েলকে লজ্জা দিতে ওই হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও নানা মন্তব্য করতেন। আমরা চাই এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হোক।
এ ঘটনায় পায়েলের পরিবারের অভিযোগ, পায়েল তফশিলি উপজাতিভুক্ত হওয়াতেই তাকে নিপীড়ন করা হতো।
তবে অভিযুক্ত তিন চিকিৎসক একটি চিঠিতে চিকিৎসকদের একটি সংগঠনকে লিখেছেন, তাদের উপর যেন ন্যায্য বিচার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে নৃশংসতা অ্যাক্ট, র্যাগিং বিরোধী অ্যাক্ট, আইটি অ্যাক্ট ও ৩০৬ ধারায় (আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া) অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।