বিদেশ থেকে চাল আমদানি কমিয়ে কৃষকদের বাঁচাতে আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ৫৫ শতাংশ করা হয়েছে। যা বিদ্যমান শুল্ক করের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। আজ থেকেই এ শুল্ক কার্যকর হবে।
বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এনবিআরের এ সংক্রান্ত জারি করা একটি সার্কুলারে বলা হয়, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চাল আমদানিতে নিরুৎসাহি করতে চালের উপর বর্তমান প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ বহাল রেখে রেগুলেটরি ডিউটি ৩ শতাংশ হতে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।
একই সাথে এসব পণ্যের উপর ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপ করা হয়েছে। ফলে চাল আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমানে মোট করভার দাঁড়িয়েছে ৫৫ শতাংশ।
এর মধ্যে কাস্টম ডিউটি ২৫ শতাংশ, রেগুলেটরি ডিউটি ২৫ শতাংশ ও অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারি করা সার্কুলারটি আজ বুধবার থেকেই কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে সিনিয়র সচিব অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, চলতি ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ১০ মাসে প্রায় ৩ লাখ ৩ হাজার টন চাল আমদানি করা হয়েছে।
এতে দেশীয় কৃষকরা উৎপাদন খরচের চেয়েও কম মূল্যে চাল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। যার ফলে প্রান্তিক কৃষকেরা আর্থিকভাবে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
তিনি বলেন, কৃষকদের আর্থিক ক্ষতি হতে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী আমদানি পর্যায়ে চালের উপর এ আমদানি শুল্ক কর বাড়ানো হয়েছে।