চট্টগ্রামের মাঝিরঘাট এলাকার একটি তিন তলা ভবনসহ অন্তত তিনটি ভবন হেলে পড়েছে, দেখা দিয়েছে ফাটল। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়া খাল খননের কারণে পাশের এসব ভবন হেলে পড়েছে বলে দাবি ভবন মালিক ও ফায়ার সার্ভিসের।
ইতোমধ্যে ভবন থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম এর উপ-পরিচালক ফারুক আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বছর খনন কাজ শুরু হলে খালের পাড়ে অবস্থিত একটি ৫ তলা ভবন ধসে পড়ায় সেটি সরিয়ে নিয়েছিল ভবন মালিকরা। চলতি শীত মৌসুমে আবার খনন শুরু হলে আবারও খালের পাড়ের ভবনগুলো হেলে পড়ার ঝুঁকিতে পড়ে। সোমবার সন্ধ্যায় তিনটি ভবনে দেখা দেয় বড় ফাটল।
ভবন হেলে পড়ায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা নিজ উদ্যোগেই সরে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস এসে এলাকার লোকজনদের সাবধানে থাকার নির্দেশনা দেন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম উপ-পরিচালক ফারুক আহমেদ জানান, খাল খননের কারণে ভবনগুলোতে ফাটল দেখা দিয়েছে। সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে দ্রুত ভবন ত্যাগ করে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে।
কাউন্সিলর গোলাম মো. জোবায়ের বলেন, চিন্তাভাবনা ছাড়া কাজ করছে বলেই ভবনগুলোতে ফাটল ধরছে।
ভবন মালিকরা আরও অভিযোগ করেন, বার বার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেননি তারা। ভবন হেলে পড়ার খবর জানালেও সাড়া মেলেনি।
মাঝির ঘাটের পার্বতী ফকির পাড়ার এই এলাকায় বসবাস করেন হাজার খানেক পরিবার। ভবন আছে শতাধিক। গত বছর থেকে এই এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গোলজার খালে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় খনন কাজ চালাচ্ছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।