ইরাক ও সিরিয়ায় পরাজিত হয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠি কথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এখন দেশ দুইটি থেকে পলায়নরত জঙ্গিদের পরবর্তী লক্ষ্য এশিয়া বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে ওই সম্ভাব্য দেশ বলেও ধরা হয়েছে। গত রোববার ইরাক সরকার ঘোষণা দেয়, দেশটি আইএস সন্ত্রাসীদের থেকে ‘সম্পূর্ণ মুক্ত’ এবং ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধ শেষ হয়েছে। আর এই সপ্তাহের শুরুর দিকে রাশিয়ার জেনারেল স্টাফ বলেছেন, সিরিয়ার মাটিতে আইএসের সকল সন্ত্রাসী ইউনিটকে ধ্বংস করা হয়েছে। এই অঞ্চল এখন মুক্ত। সে অর্থে ধরেই নেয়া হচ্ছে ইরাক-সিরিয়ায় জঙ্গি আইএসের আমল শেষ। বিষয়টি বিশ্বশান্তির প্রশ্নে সুখবর হলেও ইরাক-সিরিয়ায় থাকা প্রায় ৩০-৩৫ হাজার অভিবাসী জঙ্গিদের বর্তমান অবস্থান নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বেশ আগে থেকেই আইএসে থাকা ইউরোপের নাগরিকরা ফিরতে শুরু করেছে। বহু দেশ ফিরে এলে তাদের ক্ষমা করাসহ বিভিন্ন ঘোষণা দিয়েছে। অনেক দেশে গোপনে ফিরতে গিয়ে ও আত্মগোপন করেও ধরা পড়েছে অনেক জঙ্গি। আজ সোমবার আফ্রিকান ইউনিয়ন থেকেও হুঁশিয়ারি ও বিশেষ সতর্কতা নিতে বলা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ৬ হাজার আফ্রিকান নাগরিক ওই জঙ্গি দলে ছিলেন। আফ্রিকান ইউনিয়ন ওইসব ফিরতে শুরু করা আইএস সদস্যদের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ও নীতিমালা তৈরির বিষয়েও আহ্বান জানিয়েছে আফ্রিকান দেশগুলোকে। এই পরিস্থিতিতে আফ্রিকান ইউনিয়নের আহ্বান কিছুটা হলেও আমাদের জন্যও প্রযোজ্য। বাংলাদেশ থেকেও অনেক তরুণ বিপথগামী হয়ে আইএসে যোগ দিয়েছে, অনেকে নিহতও হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে যথেষ্ট সতর্ক এবং তৎপর। নিশ্চয় তাদের কাছে আইএসমুখি দেশান্তরি হওয়া বিপথগামীদের তথ্য রয়েছে। দেশের ভেতরে সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতা দমনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট সফল। এই সফলতা যেনো হুমকির মুখে না পড়ে।