বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন গাজীপুর-খুলনা সিটি নির্বাচনের মতোই মন্তব্য করে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, নির্বাচনের চেয়ে বেশি দরকার চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন গাজীপুর-খুলনা সিটি নির্বাচনের মতো হয়ে যাবে।
‘তাই আমি বলবো যারা নির্বাচনে যেতে চান তারা আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার ব্যবস্থা করুন। তাকে নিয়েই নির্বাচনে যাবো। তাহলে বিএনপি বিজয়ী হবে। কেউ ঠেকাতে পারবে না।’
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও বাকশালী পুলিশ র্যাব কর্তৃক গুম-খুন ও নির্মম নির্যাতনের শিকার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ আর্থিক সহায়তা প্রদান করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী হেল্প সেল। তারা ৬ টি পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেন। এর আগে বিগত আন্দোলনে ভূমিকা রাখতে গিয়ে পুলিশ, র্যাব ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের হাতে গুম-খুন-পঙ্গু হওয়া ১২৪টি পরিবারকে ৬১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা অনুদান প্রদান করে জাতীয়তাবাদী হেল্প সেল।
মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে বাংলাদেশে ঘরে ঘরে স্বজন হারা মানুষের কান্নার রোল। আমরা সরকারের কাছে আহবান জানাই গুম হওয়া নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে দিন। আর খুনের সাথে জড়িতদের বিচারের ব্যবস্থা করুন।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, বিএনপি কোন কাপুষের দল না। বিএনপি একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গড়া দল। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ১৯৭১ সাল থেকে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছেন। আর এ কারণেই সরকার প্রতিহিংসায় খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে নিয়ে নির্যাতন করছে। শুনছি এখন নাকি আবার বিএনপি নেতাকর্মীদের লিস্ট করছে। এসব লিস্ট-ফিস্ট দিয়ে কাজ হবে না।
গাজীপুর- খুলনা নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, গাজীপুর-খুলনা সিটি নির্বাচনে সরকার কারচুপি করে বিজয়ী হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পরপর বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার হুমকি ধমকি দিয়ে এলাকা ছাড়া করেছে। বিএনপি কৌশলগত কারণে প্রতিরোধ করেনি। তবে আগামীতে প্রতিরোধ করা হবে।
জাতীয়তাবাদী হেল্প সেলের সদস্য আরাফাতুল রহমান আপেলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক নিলুফার চৌধুরী মনি, যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা শাহীন, ছাত্রদলের রাজিব আহসান পাপ্পু, জাতীয়তাবাদী হেল্প সেলের সম্বয়ক সুমন আহসানসহ গুম-খুন হওয়া পরিবারের সদস্যরা।