চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

খালেদ মোশাররফ বীর উত্তমকে কারা খুন করেছিল?

জেনারেল খালেদ মোশাররফ ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সফল এক সেক্টর কমান্ডার। তার নামেই গড়ে উঠেছিল ‘কে’ ফোর্স। একেবারে সংক্ষেপে বললে সেক্টর টুতে যে গেরিলা যুদ্ধ হয়, সেই রণকৌশলের মূল উদ্ভাবক ও পরিকল্পক ছিলেন তিনিই। তার কাছ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গেরিলারাই পাকিস্তানী বাহিনীর দখলে থাকা ঢাকা শহরটা দ্রুত কাঁপিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল। ৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর নানা ঘটনাপ্রবাহে ৭ নভেম্বর রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অবস্থানরত ১০ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের ইউনিটে থাকা অবস্থায় সকালের দিকে নিহত হন তিনি। বলা হয় বিদ্রোহী সিপাহীরা তাকে হত্যা করেছিল। আবারও এও বলা হয়, তার পরিচিত সেনা কর্মকতারাই তাকে হত্যা করেছিল। দীর্ঘ ৪২ বছর অতিক্রান্ত হলেও জেনারেল খালেদ মোশাররফের হত্যাকারী আজও সঠিকভাবে চিহ্নিত হয়নি। হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনারও কোনো প্রক্রিয়া চোখে পড়েনি। ফলে এই হত্যাকাণ্ড রহস্যের বেড়াজালেই বন্দী হয়ে আছে। খালেদ মোশাররফ হত্যাকাণ্ড নিয়ে এ পর্যন্ত কোনো মামলা দায়েরও হয়নি। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারও এ বিষয়টি নিয়ে খুব একটা আগ্রহী নয় বলেই প্রতীয়মান। ফলে আইনি কোনো কাঠামোর মধ্যে দিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি অগ্রসর হতে পারেনি। খালেদ মোশাররফ যে সব সেনাকর্মকর্তার সহায়তায় ৩ নভেম্বর অভ্যুত্থান করেছিলেন তারাও এ বিষয়ে সঠিক তথ্য উন্মোচন করেছেন এমনটি জানা যায়নি।

খালেদ মোশাররফ নিহত হয়েছিলেন ৭ নভেম্বর। তার দাফন হয়েছিল দুদিন পর ৯ নভেম্বর ক্যান্টনমেন্টেরই গোরস্থানে। খালেদ মোশাররফকে কারা হত্যা করেছিল? জিয়ার অনুগত সেনা অফিসাররা, নাকি কর্নেল তাহেরের সিপাহী বিদ্রোহে যোগ দেওয়া সিপাহীরা? না, এ প্রশ্নের সঠিক কোনো উত্তর নেই। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে সেনাবাহিনীর যেসব কর্মকর্তা বিভিন্ন বই পুস্তকে লিখেছেন সেখানেও সঠিক তথ্য ও দিকনির্দেশনার গড়মিল পাওয়া যায়। আবার যাদের নাম এসেছে তারাই বা কেন ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকল সেটাও রহস্যাবৃত বলে মনে হয়। ৩ নভেম্বরে খালেদ মোশাররফ-এর নেতৃত্বে যে অভ্যুত্থান সংঘটিত হয় সেখানে অন্যতম ভূমিকা রাখেন ৪৬ ব্রিগেডের প্রধান কর্নেল শাফায়াত জামিল। তার লেখা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ রক্তাক্ত মধ্য-আগস্ট ও ষড়যন্ত্রময় নভেম্বর বইয়ের ১৪৪ পৃষ্ঠায় খালেদ মোশাররফ হত্যাকাণ্ড নিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে এভাবে- শেষ রাতের দিকে দশম বেঙ্গলের অবস্থানে যান খালেদ। বেলা এগারোটার দিকে এলো সেই মর্মান্তিক মুহূর্তটি। ফিল্ড রেজিমেন্টে অবস্থানরত কোনো একজন অফিসারের নির্দেশে বেঙ্গলের কয়েকজন অফিসার অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় খালেদ ও তার দুই সঙ্গীকে গুলি ও বেয়নেট চার্জ করে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি আজো। সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হলে ৬ নভেম্বর দিবাগত রাত বারোটার পর ফিল্ড রেজিমেন্টে সদ্যমুক্ত জিয়ার আশেপাশে অবস্থানরত অফিসারদের অনেকেই অভিযুক্ত হবেন এ দেশের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম সেনানায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেদ মোশাররফের হত্যার দায়ে। তথাকথিত সিপাহী বিপ্লবের অন্যতম নায়ক কার্নেল তাহের এবং তৎকালীন জাসদ নেতৃবৃন্দও এ দায় এড়াতে পারবেন না। কর্নেল শাফয়াত জামিলের লেখায় এটি স্পষ্ট যে খালেদ মোশাররফকে হত্যা করেছে জিয়ার অনুগত অফিসাররা, সিপাহীরা নন। কারণ সিপাহী বিদ্রোহে সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় কোনো অফিসারের সরাসরি থাকার প্রমাণ নেই। তাহলে প্রশ্ন- খালেদের বুকে ও কপালে যে অফিসাররা গুলি করেছিলেন সেই অফিসার কারা ছিলেন? কোথায় গেলেন তারা?%e0%a6%96%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%a6-%e0%a6%ae%e0%a7%8b%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%b0%e0%a6%ab-2

সেসময় রক্ষীবাহিনীতে কর্মরত কর্নেল আনোয়ারুল আলম তার লেখা রক্ষীবাহিনীর সত্য-মিথ্যা বই-এর ১৭৮ পৃষ্ঠায় খালেদ মোশাররফ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বলেছেন- অভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে খালেদ মোশাররফ কর্নেল খোন্দকার নাজমুল হুদা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল এটিএম হায়দারকে সাথে নিয়ে শেরে বাংলা নগরে অবস্থানরত ১০ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের ইউনিটে যান। সেনাবাহিনীর সঙ্গে রক্ষীবাহিনীর আত্তিকরণের পর রক্ষীবাহিনীর প্রধান কার্যালয় মিনি ব্যারাক হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। ওখানে ছিল ১০ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের অবস্থান। এই রেজিমেন্ট খালেদ মোশাররফের নির্দেশে রংপুর থেকে এসে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল। খালেদ মোশাররফ ঐ রেজিমেন্টের সদর দপ্তরকে নিরাপদ মনে করে খোন্দকার নাজমুল হুদা এবং এটিএম হায়দারকে নিয়ে সেখানে যান। দুর্ভাগ্যের বিষয়, খালেদ মোশাররফ যে স্থানে নিরাপদ মনে করেছিলেন সেখানেই তিনি নিহত হন। তার সঙ্গে নিহত হন খোন্দকার নাজমুল হুদা ও এটিএম হায়দারও।

লে. কর্নেল (অব.) এম. এ. হামিদ পিএসসির লেখা তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা বইয়ে খালেদ মোশাররফ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে ১৪২ পৃষ্ঠায় খালেদ যেভাবে মারা গেলেন অংশে বলা হয়েছে-রাত ১২টায় সেপাই বিপ্লবের খবর পেয়ে জেনারেল খালেদ মোশাররফ সঙ্গে সঙ্গে তার প্রাইভেট কার নিয়ে বঙ্গভবন থেকে দ্রুত বেরিয়ে যান। তিনি নিজেই ড্রাইভ করছিলেন। তার সাথে ছিল কর্নেল হুদা ও হায়দার। দুজন ঐদিনই ঢাকার বাইরে থেকে এসে খালেদের সাথে যোগ দেন। খালেদ প্রথমে রক্ষী বাহিনী প্রধান ব্রিগেডিয়ার নুরুজ্জামানের বাসায় যান। সেখানে তার সাথে পরামর্শ করেন।

নুরুজ্জামান তাকে ড্রেস পাল্টে নিতে অনুরোধ করে। সে তার নিজের একটি প্যান্ট ও বুশ সার্ট খালেদকে পরতে দেয়। কপালের ফের! শেষ পর্যন্ত নুরুজ্জামানের ছোট সাইজের শার্ট প্যান্ট পরেই খালেদকে মৃত্যুবরণ করতে হয়। যাক, সেখান থেকে খালেদ কলাবাগানে তার এক আত্মীয়ের বাসায় যান। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করেন এবং কয়েক জায়গায় ফোন করেন। ৪র্থ বেঙ্গলে সর্বশেষ ফোন করলে ডিউটি অফিসার লে. কামরুল ফোন ধরে। সে তাকে প্রকৃত অবস্থা অবহিত করে। এবার খালেদ বুঝতে পারেন অবস্থা খুবই নাজুক। তিনি অবস্থান পরিবর্তন করে শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত ১০ম বেঙ্গল রেজিমেন্টে আশ্রয় গ্রহণ করতে যান। ১০ম বেঙ্গলকে বগুড়া থেকে তিনিই আনিয়েছিলেন তার নিরাপত্তার জন্য। পথে ফাতেমা নার্সিং হোমের কাছে তার গাড়ি খারাপ হয়ে গেলে তিনি কর্নেল হুদা ও হায়দারসহ পায়ে হেঁটেই ১০ম বেঙ্গলে গিয়ে পৌঁছেন।

প্রথমে নিরাপদেই তারা বিশ্বস্ত ইউনিটে আশ্রয় নেন। তখনো ওখানে বিপ্লবের কোন খবর হয়নি। কমান্ডিং অফিসার ছিলেন কর্নেল নওয়াজিশ। তাকে দেয়া হয় খালেদের আগমনের সংবাদ। তিনি তৎক্ষণাৎ টেলিফোনে টু-ফিল্ডে সদ্যমুক্ত জেনালের জিয়াউর রহমানকে তার ইউনিটে খালেদ মোশাররফের উপস্থিতির কথা জানিয়ে দেন। তখন ভোর প্রায় চারটা। জিয়ার সাথে ফোনে তার কিছু আলাপ হয়। এর পর তিনি মেজর জলিলকে ফোন দিতে বলেন। জিয়ার সাথে মেজর জলিলের কিছু কথা হয়। তাদের মধ্যে কি কথা হয়, সঠিক কিছু বলা মুশকিল। তবে কর্নেল আমিনুল হক বলেছেন, তিনি ঐসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং জিয়াকে বলতে শুনেছেন যেন খালেদকে প্রাণে মারা না হয়।

যাহোক ভোরবেলা দেখতে দেখতে সেপাই বিদ্রোহের প্রবল ঢেউ ১০ম বেঙ্গলে গিয়ে লাগতে শুরু করে। সেপাইরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি কর্নেল নওয়াজিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তারা খালেদ ও তার সহযোগীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সেপাইরা তাদের টেনে হিঁচড়ে বের করে। ইউনিটের অফিসার মেজর আসাদের বিবৃতি অনুসারে কর্নেল হায়দারকে তার চোখের সামনেই মেস থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে এনে প্রকাশ্যে সৈনিকরা গুলি করে হত্যা করে। বাকি দু’জন উপরে ছিলেন তাদের কিভাবে মারা হয় সে দেখতে পায়নি। তবে জানা যায় হায়দার, খালেদ ও হুদা অফিসার মেসে বসে সকালের নাস্তা করছিলেন। হুদা ভীত হয়ে পড়লেও খালেদ ছিলেন ধীর, স্থির, শান্ত।

%e0%a6%96%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%a6-%e0%a6%ae%e0%a7%8b%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%b0%e0%a6%ab-3জানা গেছে, মেজর জলিল (ইনি জাসদের সভাপতি জলিল নন, তিনি তখন কারাগারে ছিলেন) কয়েকজন উত্তেজিত সৈনিক নিয়ে মেসের ভেতর প্রবেশ করে। তার সাথে একজন বিপ্লবী হাবিলদারও ছিল। সে চিৎকার দিয়ে জেনারেল খালেদকে বলল, ‘আমরা তোমার বিচার চাই’! খালেদ শান্ত কণ্ঠে জবাব দিলেন, ‘ঠিক আছে তোমরা আমার বিচার করো। আমাকে জিয়ার কাছে নিয়ে চলো।’ স্বয়ংক্রিয় রাইফেল বাগিয়ে হাবিলদার চিৎকার করে বললো, ‘আমরা এখানেই তোমার বিচার করবো।’ খালেদ ধীর স্থির। বললেন, ‘ঠিক আছে, তোমরা আমার বিচার কর।’ খালেদ দু’হাত দিয়ে তার মুখ ঢাকলেন। ট্যা-রর্–র-র! একটি ব্রাশ ফায়ার! আগুনের ঝলক বেরিয়ে এলো বন্দুকের নল থেকে। মেঝেতে লুটিয়ে পড়লেন মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানি খালেদ মোশাররফ। সাঙ্গ হলো বিচার। শেষ হলো তার বর্ণাঢ্য জীবন ইতিহাস। কর্নেল হুদা প্রথম থেকেই ভয়ে কাঁপছিলেন। খালেদ তাকে সান্তনা দিচ্ছিলেন। কামরার ভিতরেই ধরা পড়লেন মেজর হুদা। গুলিবিদ্ধ হয়ে সেখানেই প্রাণ ত্যাগ করেন। কর্নেল হায়দার ছুটে বেরিয়ে যান কিন্তু সৈনিকদের হাতে বারান্দায় ধরা পড়েন। উত্তেজিত সৈনিকদের হাতে তিনি নির্দয়ভাবে লাঞ্ছিত হলেন। তাকে সেপাইরা কিল ঘুষি-লাথি মারতে মারতে দোতলা থেকে নিচে নামিয়ে আনে। সেখানে ঐ অবস্থায়ই একজন সৈনিকের গুলিতে তার জীবন-প্রদীপ নিভে গেল। মুক্তিযুদ্ধের বীর সৈনিক কর্নেল হায়দার। ঢাকায় পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে বহু কমান্ডো আক্রমণের নেতৃত্ব দেন হায়দার। ১৬ই ডিসেম্বর একাত্তরে পল্টন ময়দানে ঐতিহাসিক আত্মসমর্পণ মুহূর্তে অপূর্ব ভঙ্গীতে স্টেনগান কাঁধে হায়দারকে দেখা যায় জেঃ অরোরা ও নিয়াজীর সাথে মঞ্চের দিকে এগিয়ে যেতে। ঘটনার নায়ক মেজর জলিল এখনো জীবিত। কিন্তু তার সাক্ষাৎকার নেয়া সম্ভব হয়নি। ঐ মুহূর্তে ঠিক কি ঘটেছিল ‘আজকের কাগজ’ পত্রিকায় প্রত্যক্ষদর্শী মেজর আসাদুজ্জামান এভাবে বর্ণনা করেছেন, ‘মেজর জলিল সাহেব উপরে (দোতলায়) ব্রিগেডিয়ার খালেদ, কর্নেল হুদা ও কর্নেল হায়দারের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। এর কিছুক্ষণ পরেই জোয়ানরা লেঃ কর্নেল হায়দারকে কিল, ঘুসি ও চর মারতে মারতে নিচে নামিয়ে আনতে লাগল। আমি তখন বেশ দূরে একটা জীপের ভেতর ছিলাম। আমি জীপের দরজা খুলে বের হতেই তিনি আমাকে চিৎকার করে ডেকে বললেন ‘আসাদ সেভ মি’। আমি দৌড়ে তার কাছে যেতে চেষ্টা করি। তার কাছে পৌঁছানোর পূর্বেই পাশে দাঁড়ানো এক জোয়ানের গুলিতে তিনি মাটিতে লুটিতে পড়েন। মেজর জলিল নিশ্চয় বেঁচে আছেন। সেই সময়ের সেনা কর্মকর্তাদের জানার কথা মেজর জলিল বর্তমানে কোথায় আছেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মেজর আসাদও নিশ্চয় এখনও বেঁচে আছেন। এই প্রত্যক্ষদর্শীকে খুঁজে বের করতে পারলে খালেদ মোশাররফের প্রকৃত খুনী কে তা বের করার পথ অনেকটাই উন্মোচন করা সম্ভব। যদি তা না হয় খালেদ মোশাররফ হত্যাকাণ্ড রহস্যময় হয়েই থাকবে। যে যার স্বার্থকে দেখে এই হত্যাকাণ্ডের পক্ষে আর বিপক্ষে বলবে। কোনোদিন বোধ হয় কেউ জানতে পারবে না খালেদ মোশাররফের বুকে এক ঝাঁক বুলেট কোন অফিসার কার ইশারায় ছুঁড়েছিল। খালেদ মোশাররফের উত্তরাধিকার মেহজাবিন খালেদও তা জানতে পারবেন না।

(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)