কুমিল্লায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
সোমবার দিবাগত রাতে জেলার মুরাদনগর উপজেলার নবগঠিত বাঙ্গরাবাজার থানার ব্রাহ্মণচাপিতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে দু’জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হচ্ছেন- ব্রাহ্মণচাপিতলা গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে ফারুক মিয়া (৩৮) ও তার স্ত্রী রুজিনা আক্তার (৩২)।
এ দম্পতির সংসারে তিনটি কন্যা সন্তান আছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- তিন কন্যাকে ঘুম পাড়িয়ে স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছে ফারুক।
খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) মো: জাহাঙ্গীর আলম ও বাঙ্গরা বাজার থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আবদুল্লাহ আল মামুন।
জানতে চাইলে এএসপি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে এসে জানতে পেরেছি এ দম্পতির মাঝে প্রায়ই কলহ লেগে থাকতো। সার্বিক বিবেচনায় মনে হচ্ছে- সেই কলহের কারণেই সন্তানরা ঘুমিয়ে পড়ার পর স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী। এরপর স্বামীও আত্মহত্যা করেন। মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ দম্পতির সন্তান, স্বজন ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে আরো তথ্য সংগ্রহ করা হবে।’
পারিবারিক বিষয় নিয়ে ফারুক-রোজিনা দম্পতি প্রায়ই ঝগড়া করতো বলে জানিয়েছেন ফারুকের বড় ভাই সহিদ মিয়া। তিনি বলেন, ‘চাকুরির সুবাধে ফারুক ঢাকায় থাকতো। মাসে এক-দুবার বাড়ি আসতো, কিন্তু সোমবার রাতে কখন সে বাড়ি এসেছে তা আমরা টের পাইনি। সকালে বাচ্চাদের কান্নাকাটি শুনে ঘরে গিয়ে তাদের লাশ দেখতে পাই।’
বাঙ্গরা বাজার থানার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ‘লাশ দুটি উদ্ধারের পর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্যে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
সেসময় তিনি আরও জানান, ‘পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এবং পুলিশি তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। তবে, সুরতহাল রিপোর্ট দেখে ধারণা করা হচ্ছে-স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।’