প্রচেষ্টায় ঘাটতি ছিল না! তবে সেই চেষ্টায় ওমান থেকে এক পয়েন্টও আনতে পারছে না বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ে ১০০ ধাপ এগিয়ে থাকা শক্তিশালী দেশটির বিপক্ষে ২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান গেমসের বাছাইপর্বে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে ৪-১ গোলে হেরে দেশের বিমানে উঠছে জামাল ভূঁইয়ারা।
কাতার বিশ্বকাপের মঞ্চ তো দূরেরই পথ, এই হারে এশিয়ান গেমসের মূলপর্বে ওঠার সম্ভাবনাও প্রায় শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের। বাছাইপর্বে গ্রুপ ‘ই’তে পাঁচ দলের মধ্যে ১ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে অবস্থান জেমি ডের দলের। আর ৯ পয়েন্টে দ্বিতীয়স্থান পোক্ত করল ওমান।
বৃহস্পতিবার রাতের আগের ম্যাচে আফগানিস্তান নিজেদের মাটিতে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে ভারতকে। ৪ পয়েন্ট নিয়ে এখন তিনে অবস্থান আফগানদের, ৩ পয়েন্ট নিয়ে ভারত আছে চারে। ১০ পয়েন্টে গ্রুপে শীর্ষে বিশ্বকাপের স্বাগতিক কাতার।
সুলতান কাবুস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে সমর্থন জানাতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন ৮ হাজারেরও বেশি প্রবাসী বাঙালি। নিজ মাটির সমর্থকদের পাশে পেয়ে প্রথম সুযোগটা কিন্তু এনেছিল অতিথিরাই, তবে তা কাজে লাগানো যায়নি। ম্যাচের ১০ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জাল বরাবর দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন লাল-সবুজ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ৩০ গজ দূর থেকে তার সেই শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান ওমান গোলরক্ষক।
পরে বলের দখল নিজেদের পায়ে রাখলেও ওমানকে ভালো আক্রমণের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে ৩৫ মিনিট পর্যন্ত। সতীর্থের বাড়ানো বলে ফরোয়ার্ড মুহসেন আল ঘাসানির হেড অবশ্য সেসময় ঠেকিয়ে দেন লাল-সবুজ গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা।
গোল করতে ব্যর্থ ওমান প্রথমার্ধে এরপরও চেষ্টা চালিয়েছে একাধিকবার। তবে রক্ষণ সেনাদের প্রচেষ্টায় প্রথম ৪৫ মিনিট গোলশূন্য কাটিয়ে দেয় লাল-সবুজরা।
কিন্তু বিরতির পরেই ভুল করে বসে বাংলাদেশের রক্ষণ। তাদের ভুলের সুযোগে ডি-বক্সে অরক্ষিতভাবে বল পেয়ে যান মহসিন আল খালদি। ৪৮ মিনিটে তার বাঁ-পায়ের শট ঠেকানোর সাধ্য হয়নি গোলরক্ষক রানার।
গোলহজম করে আক্রমণের গতি বাড়ায় বাংলাদেশ। সুযোগও এসেছিল ৫৯ মিনিটে। তবে ডি-বক্সে নেয়া নাবীব নেওয়াজ জীবনের হেড আটকে যায় ওমান গোলরক্ষকের গ্লাভসে।
বাংলাদেশের সব প্রচেষ্টায় জল ঢেলে এরপর দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে যায় ওমান। ৬৮ মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে ডি-বক্সে ক্রস করেন মহসিন আল খালদি। সেই ক্রসের আলতো ভলিতে বল জালে জড়িয়ে স্টেডিয়াম ভর্তি লাল-সবুজ দর্শকদের হৃদয় ভাঙেন আল-মানধার।
ম্যাচের ৭৯ মিনিটে অতিথিদের ম্যাচে ফেরার সমস্ত রাস্তাই বন্ধ করে দেন বদলি খেলোয়াড় আরশাদ সাঈদ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে তার বাঁ-পায়ের জোড়াল শট ঠেকানোর সুযোগই পাননি বাংলাদেশ গোলরক্ষক।
তিন গোলে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের হয়ে পরে এক গোল শোধ দেন বিপলু আহমেদ। সতীর্থের মাথার টোকায় বাড়ানো বলকে জোরাল এক শটে ৮১ মিনিটে জালে জড়িয়ে ব্যবধান কমান বিপলু। খেলার অতিরিক্ত সময়ে ওমানের চতুর্থ গোলটি করেন ডিফেন্ডার আরমান সাঈদ।