বনানী এফ আর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত জমির মালিক এস এম এইচ ফারুক ও ভবনটি বর্ধিত অংশের মালিক বিএনপি নেতা তাসবিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হলেও মামলার অন্যতম আসামি রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল বিদেশে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করছে গোয়েন্দা সূত্র।
মামলা স্থানান্তরের বিষয়টি রোববার সকালে চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেন মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) শাহজাহান সাজু।
তিনি জানান, এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বনানী থানায় দায়ের মামলাটি ইতোমধ্যে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে মামলা ও গ্রেপ্তারদের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
ডিবির (উত্তর) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলাইন সিথিল চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, গ্রেপ্তার দুইজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
মামলার আরেক আসামি রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন: তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য অনুযায়ী আমরা ধারণা করছি তিনি দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন।
শনিবার দিবাগত রাতে মামলার অন্য দুই আসামি এফ আর টাওয়ারের অবৈধ অংশের মালিক বিএনপি নেতা তাসবিরুল ইসলাম এবং ভবনটির জমির মালিক এস এম এইচ ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়। রাত ১১টার দিকে বারিধারার নিজ বাসা থেকে প্রথমে তাসবির এবং রাত ১টার দিকে ফারুককে বসুন্ধরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে, চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় শনিবার বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিল্টন দত্ত বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় জমির মালিক এস এম এইচ আই ফারুক (৬৫), রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ওরফে মুকুল (৫৭), কাশেম ড্রাইসেল লিমিটেডের স্বত্ত্বাধিকারী তাসবিরুল ইসলাম (৬২) ও এফ আর টাওয়ার ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতারাসহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেকের নামে অভিযোগ আনা হয়। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বনানী থানায় মামলাটি করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ২৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। ঘটনায় শতাধিক মানুষ দগ্ধ ও আহত হন।