একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির ফলাফলে অসংখ্য ভুল থাকায় নির্দিষ্ট সময়ে শুরু করা যায়নি শিক্ষা কার্যক্রম। ফলাফল ঠিক করতে আবেদনের পাহাড় জমেছে শিক্ষা বোর্ডে। সমস্যার সমাধান না হলে দ্বিতীয় মেধা তালিকা প্রকাশের পর আবারো নতুন করে আবেদনের সুযোগ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
সকাল হতেই ঢাকা বোর্ডে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভিড় ছিলো।
নামের সঙ্গে প্রকাশিত ফলাফলের আইডি নম্বরে মিল না থাকা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না হয়েও মুক্তিযোদ্ধা কোটাভুক্ত করা, মেয়ে হয়েও ছেলেদের কলেজে অথবা ছেলে হয়েও মেয়েদের কলেজে ভর্তির সুযোগ করে দেয়াসহ হাজারো সমস্যার কারণে বিড়ম্বনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। চারদফা পিছানোর পর গত ২৮ জুন রাতে প্রকাশিত ফলাফল এরকমই ভুলে ভরা।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানালেন নানা অভিযোগের কথা। এক অভিভাবক জানালেন, প্রকাশিত ভর্তি ফলাফল অনুযায়ী তার ছেলে গফরগাঁওয়ের কলেজে ভর্তিও সুযোগ পেয়েছে। অথচ ওই কলেজের জন্য আবেদনই করা হয়নি। আরেক অভিভাবক বলেন, পছন্দের কলেজের ভর্তি তালিকায় সন্তানের নাম থাকলেও আবেদন পরিচিতি বা অ্যাপ্লিকেশন আইডিতে গরমিল থাকায় ভর্তি নিচ্ছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ। এক শিক্ষার্থী বললেন মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারী না হয়েও তার নাম এসেছে কোটায় সুযোগ পাওয়াদের তালিকায়।
ঘটনা সামাল দিতে বেগ পেতে হচ্ছে বোর্ড কর্তৃপক্ষের। ফলাফলে ভুলের কারণে দেশের বেশিরভাগ কলেজেই নির্দিষ্ট সময়ে একাদশ শ্রেণীর কার্যক্রম শুরু হয়নি। প্রথম পছন্দের তালিকায় নারায়ণগঞ্জ কলেজকে এক নম্বরে রেখেছিল প্রায় ৭ হাজার শিক্ষার্থী। সহ-শিক্ষা মাধ্যমে পরিচালিত এই কলেজে মেয়েদের ভর্তির সুযোগ দেয়া হলেও ছেলেদের এক হাজার ৮’শ ৫০টি আসন শূন্য রাখা হয়েছে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উপ-কলেজ পরিদর্শক অদ্বৈত কুমার রায় এমন পরিস্থিতিতে, ভুল সংশোধনে বোর্ড শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে নোটিস টাঙিয়ে দিয়েছে। এরপরও ভুল থাকলে দ্বিতীয়বার আবেদন করারও সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ বীরাজ কুমার সাহা বলেন,প্রভাতী শাখায় আসন সংখ্যার চেয়েও বেশি শিক্ষার্থীকে ভর্তি নিতে বলা হলেও দিবা শাখায় শিক্ষার্থী ভর্তির কোনো তালিকাই খুঁজে পাচ্ছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এই কলেজে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাক ও শিক্ষকরা আছেন আতঙ্কে। এখানে বিজ্ঞানে নির্দিষ্ট আসনের চেয়ে অনেক বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়েছে।