দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়ে কৃষি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ বলেছেন, এই সম্মাননা অবশ্যই তাকে ভবিষ্যতে কৃষি উন্নয়নে আরও বেশি কাজ করতে প্রেরণা দেবে।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ১৮ জন দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণের অনুষ্ঠান শেষে এ কথা বলেন শাইখ সিরাজ।
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এই পুরস্কার আমাকে আগামীতে কাজ করার জন্য আরও অনেক বেশি স্পৃহা যোগাবে।’
বাংলাদেশে এখন কৃষিতে একটা পরিবর্তনসূচক সময় যাচ্ছে উল্লেখ করে শাইখ সিরাজ বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যে, উন্নত কৃষি এবং আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার এবং যান্ত্রিক কৃষির দিকে এগোচ্ছে।
‘এই সময়টাতে আমরা যদি গণমাধ্যমে এবং গবেষণাসহ সব জায়গা মিলে আরও কয়েক বছর কাজ করতে পারি তাহলে বাংলাদেশের কৃষিতে একটি বিশাল উন্নতি সাধিত হবে,’ বলেন তিনি।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) সুলতান মাহমুদ বীর উত্তম এবং আমজাদুল হকও পেয়েছেন পুরস্কার। এছাড়া অধ্যাপক ডা. এ. কে. এমডি আহসান আলী চিকিৎসাবিদ্যায়, অধ্যাপক এ কে আজাদ খান সমাজসেবায়, সেলিনা হোসেন সাহিত্যে এবং ড. মো. আব্দুল মজিদ খাদ্য নিরাপত্তায় এবার স্বাধীনতা পুরস্কার গ্রহণ করেন।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সংস্কৃতিতে আসাদুজ্জামান নূর ও কৃষি সাংবাদিকতায় শাইখ সিরাজ গ্রহণ করেন সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।