ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে, মেঝেতে ফেলে পা দিয়ে মাড়িয়ে মধ্যযুগীয় নির্যাতন করেছে এক শিক্ষক। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন স্কুলের অধ্যক্ষ। বলেছেন, ওই শিক্ষক’কে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
ভর্তি নীতিমালা লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত বেতন ফি আদায়ে আলোচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
গত ১৩ এপ্রিল গণিতের শিক্ষক জাওশেদ আলম অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জামিউল ইসলাম নাদিমকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। এমনকি তাকে মেঝেতে ফেলে পা দিয়ে মাড়িয়েও নির্যাতন করেন।
জামিউলের মা বলেন,‘ ওই শিক্ষক আমার ছেলেকে মারতে মারতে নিচে মেঝেতে ফেলে দেয়। তখন আমার ছেলে বলে,‘স্যার,আল্লাহর কসম আমি আপনার সম্পর্কে কোনো কিছু বলিনি। স্যার আমাকে আর মাইরেন না। এরপরও তাকে লাথি মারেন ওই শিক্ষক’।
এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকালে বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও তারা ব্যর্থ হন। তাদের সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকও।
অধ্যাপক আবুল বারাকাত বলেন,‘এই আচরণ শিক্ষক সুলভ নয়। এ ঘটনা যিনি ঘটিয়েছেন তিনি এখন পার পাওয়ার চেষ্টা করছেন’।
কলেজের অধ্যক্ষ উম্মে সালমা বেগম বলেছেন, শিক্ষার্থী নির্যাতন করে অপরাধ করেছেন তার শিক্ষক। তিনি আরও জানান,তদন্ত শুরু হয়েছে। অতি শীঘ্রই এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো’।
বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তিনি বলেন, শিক্ষার্থী নির্যাতন একটি অপরাধ। উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন,‘ কেনো এ ধরণের অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে তা আমরা অবশ্যই খতিয়ে দেখবো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক নির্যাতন না করার নির্দেশনা রয়েছে’। এর আগে শিক্ষার্থীদের স্কুল ইউনিফরমের ছেলেদের শার্ট ও মেয়েদের কামিজের লম্বা হাতা কেটে দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেনে স্কুলটির কয়েক শিক্ষক।