ঈদে কী খেতে পছন্দ করেন আপনি? সকালে নিশ্চয়ই সেমাই খান। সাথে হয়তো পায়েস কিংবা ফিরনি থাকে। আর দুপুরে এবং রাতে তো পোলাও বিরিয়ানি ছাড়া চলেই না তাই না?
মুসলিম দেশগুলোর প্রতিটিতেই ঈদে নানান ধরণের মিষ্টান্ন খাওয়া হয়। আবার আমরা যেমন পোলাও কিংবা বিরিয়ানি খাই, তাদেরও থাকে তেমন ভুঁড়ি-ভোজের আয়োজন। জেনে নিন ঈদে কোন দেশে কী খাবার খাওয়া হয় সেই সম্পর্কে কিছু তথ্য।
মিশর
মিশরে চার দিনব্যাপী ঈদ উৎসব পালন করা হয়। ঈদে বিশেষ ধরণের বিস্কিট রাখা হয় মিষ্টান্ন হিসেবে যার নাম কাক। এছাড়াও ভাত, মাংস, পেঁয়াজ, ভিনেগার একসঙ্গে ব্লেন্ড করে তৈরি করা হয় ফাতা। মাছের নানান রকম কাবাব তাকে ঈদের মেন্যুতে।
ইরাক
ঈদ তো বটেই যে কোনো উৎসবেই ইরাকের মুসলিমরা খেজুর খেতে ভালোবাসেন। এছাড়াও বাদাম, গোলাপের পাপড়ি এবং খেজুরের পুর ভরা বিস্কিট লাইচা থাকে ঈদের টেবিলে।
সোমালিয়া
সোমালিয়াতে তৈরি করা হয় ট্র্যাডিশনাল ডেজার্ট হালভো। চিনি, তেল, ভুট্টার গুড়া এবং নানান মশলা মিশিয়ে তৈরি করা হয় সুস্বাদু এই ডেসার্ট।
আফগানিস্তান
আফগানিস্তানে ঈদে মজার একটা খেলা খেলেন পুরুষরা। শক্ত সেদ্ধ ডিম ছোড়াছুড়ি করে ঈদের আনন্দে মেতে ওঠেন তারা। এটা তাদের একটা ঐতিহ্যবাহী ঈদের খেলা। খাবার টেবিলে ছোলা দিয়ে তৈরি সর-নাখোদ পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও জেলাবি এবং কেক ওয়া কোলচা (সাধারণ কেক) পরিবেশন করা হয় অতিথিদের।
মিয়ানমার
মিয়ানমারের মুসলিমরা ঈদে সুজির তৈরি মিষ্টান্ন খেয়ে ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও তারা মাংস এবং বাদাম দিয়ে তৈরি বিরিয়ানি পরিবেশন করেন অতিথিদের।
তুরস্ক
তুরস্কে বেশ জাকজমক ভাবে উদযাপন করা হয় ঈদ উৎসব। প্রচুর মিষ্টান্ন থাকে খাবার টেবিলে। বিশেষ করে টার্কিস ডিলাইট এবং বাকলাভা তো না হলেই নয়। ছোট শিশুরা প্রতিবেশীদের বাড়িতে বেড়াতে এলে তাদেরকে উপহার দেয়া হয় নানান রকমের ক্যান্ডি, বাকলাভা, টার্কিস ডিলাইট, এবং টাকা।
ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ায় বিশেষ একটি খাবার তৈরি করা হয় যার নাম কু লাপিস লেজিত। মাখন, মশলা এবং ময়দা দিয়ে অনেকগুলো লেয়ারে তৈরি করা হয় খাবারটি।
সৌদি আরব
সৌদি আরবে ঈদে নানান রকমের রুটি, কাবসা, লেবান, কাবাব, সালাদ ইত্যাদি তৈরি করা হয়। এছাড়াও থাকে মিষ্টি জাতীয় নানান খাবার। সব খাবারই পরিমাণে অনেক বেশি তৈরি করা হয়। প্রতিবেশী এবং গরিবদের মাঝে বিলানো হয় ঈদের খাবার।
ভারত
পাশের দেশ ভারতের সাথে বাংলাদেশের ঈদের তেমন পার্থক্য নেই। সেমাই, পুডিং, কাবাব, নেহারি, হালিম, বিরিয়ানি, মিষ্টি, হালুয়া ইত্যাদি আয়োজন থাকে খাবার টেবিলে।
পাকিস্তান
পাকিস্তানে ঈদের দিন সকালের নাস্তায় বিভিন্ন রকমের মিষ্টান্ন খাওয়া হয়। ঈদে ট্র্যাডিশনাল খাবার হিসেবে তৈরি করা হয় শির কোরমা। সেমাই, মাখন, দুধ, খেজুর, চিনি, শুকনা ফল, বাদাম ইত্যাদি মিশিয়ে তৈরি করা হয় এই খাবারটি। এছাড়াও থাকে কাবাব এবং বিরিয়ানি। এনডিটিভি।