ঈদ আনন্দের একটা বড় অংশ নতুন নতুন জামা-কাপড়, জিনিসপত্র কেনা। তাই ঈদের কেনাকাটার জন্য আমাদেরকে ছুটতে হয় মার্কেটে, শপিং মলে, খুচরা দোকানীর কাছে। কিন্তু শুধু কিনতে গেলেই তো হবেনা, কিছু সতর্কতা নিয়ে চলতে হবে। আর তা হলো-
- প্রথমেই হাতব্যাগটার কথাই বলা যাক, ব্যাগটাকে সাবধানে রাখবেন। কারণ ছিনতাইকারী, পকেটমারদের আনাগোনা বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে এ সময়ে বেশি থাকে।
- শপিংয়ে যাওয়ার সময় শুধু ব্যাগ নিয়ে গেলেই হবে না। তাতে টাকা ভরেছেন কিনা, তাও খেয়াল রাখুন। নইলে দোকানে গিয়ে বিব্রত হতে হবে।
- ব্যাগে মোবাইল রাখলেও তাকে বাইরের পকেটে নয়, বরং ব্যাগের ভেতরের চেম্বারে রাখুন।
- ব্যাগের চেইন বন্ধ আছে কিনা তা খেয়াল রাখুন। কারণ চেইন খোলা থাকলে টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হওয়ার আশংকা থাকবে।
- মার্কেটে গিয়ে বেশি ভিড়ের মধ্যে সাবধানে থাকুন। কারণ বখাটেরা এসময় অনাকাঙ্খিত হুড়োহুড়ি করে মেয়েদের বিব্রত করে।
- টাকা-পয়সা লেনদেনে সতর্ক হোন। টাকা নেওয়ার সময় তা চেক করে নিন। কারণ এ সময় জাল টাকার লেনদেন বেড়ে যায়।
- শুধু জাল টাকাই নয়, টাকা ছেঁড়া কিনা কিংবা তা লেনদেনের যোগ্য কিনা তা-ও খেয়াল করে নিন।
- মার্কেটের সরু গলি দিয়ে চলাচল থেকে বিরত থাকবেন। কারণ, এখানে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটবার আশংকা থাকে।
- কাপড়ের রঙ, মান সব সুন্দর করে যাচাই করে নিন। কোনো জায়গায় ছেঁড়া আছে কিনা, তাও দেখে নিন।
- অনেক সময় কাপড় পরিবর্তনের জন্য ‘প্রাইস ট্যাগটি’ দরকার পড়ে। তাই কাপড় কিনে ট্যাগটাকে ভুলে ফেলে আসবেন না বা হারাবেন না। বরং তা সংরক্ষণ করুন।
- শপিংয়ে একা না গিয়ে বরং কাউকে সঙ্গে নিয়ে গেলে আরও ভালো হয়। পছন্দ, নিরাপত্তা সবই অনেকটা নিশ্চিত হয়।
- শপিংয়ের সব টাকা নিজের কাছে না নিয়ে বরং সঙ্গীর সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিন। তাহলে মিসিং হলেও, সব একসাথে মিসিং হবে না।
- ইফতারের পর শপিংয়ে যাওয়ার সময় সাথে পানি রাখুন। কারণ সারা দিনের পানির চাহিদার সাথে, হাঁটলেও আরেক ধরণের পানির চাহিদা যোগ হবে। আর তা পূরণ না করলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
- যদি রোজা রেখে শপিংয়ে যান, তবে অবশ্যই ছাতা, রোদচশমা সাথে নিবেন।
- ইফতারের পর শপিংয়ে গিয়ে বাইরের ভাজা-পোড়া খাবার একদমই খাবেন না।
সর্বোপরি সতর্ক থাকুন এবং ঈদের কেনাকাটাকে আনন্দময় করে তুলুন।