ইরাকে সিরিজ গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৬৩ জন নিহত হয়েছে বলে দেশটির পুলিশ এবং হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে।
দেশটির পূর্বাঞ্চলের প্রদেশ দিয়ালার শিয়াপ্রধান খালিস শহরে সংঘটিত সবচেয়ে বড় বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৪০ জন প্রাণ হারায়। দেশটির তেল শহর নামে পরিচিত বসরা থেকে ১৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শহর আল-জুবায়ের’এ অপর আরেকটি হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়। বাগদাদে তৃতীয় বোমা হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এছাড়াও রাজধানী বাগদাদের দক্ষিণ-পূর্ব দিকের প্রতিবেশি হুসেইনিয়াতে বোমা হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা এপি’র সূত্রে জানা যায়।
আল-জুবায়ের শহরে হামলার দায় ইসলামিক স্টেট স্বিকার করলেও অন্যান্য স্থানে হামলার দায় এখনোও কেউ স্বিকার করেনি।
বাগদাদসহ দেশের অন্যান্য অংশে সুন্নি জিহাদিদের বোমা চালানোর মতো শিয়া প্রধান এলাকা বসরাতেও একই কায়দায় বোমা হামলার ঘটনাটিকে চমক হিসেবেই দেখছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। অন্য দুই গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ জিহাদিদের নিয়মিত হামলার লক্ষ্য বাগদাদের উত্তরে সংঘটিত হয়।
বাগদাদের শিয়া নেতৃত্বাধীন সরকারকে অস্থিতিশীল করতে আইএস জঙ্গিরা তাদের অভিযানে শিয়া প্রধান এলাকা এবং সরকারকে লক্ষ্য করে অনবরত বোমা হামলা চালিয়ে আসছে। জঙ্গিরা শিয়াদের ধর্মদ্রোহী হিসেবে বিবেচনা করে।
গত বছরে আংশিকভাবে আইএস‘এর দখলকৃত ধর্ম এবং জাতিগতভাবে বিভক্ত প্রদেশের একটি শহর খালিসের বাজার এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এলাকাটি রাজধানী থেকে ৫৫ কিমি দূরে অবস্থিত। জানুয়ারিতে দিয়ালা মুক্ত করার দাবি করে সরকার।
প্রদেশটিতে এখন স্থায়ী কোন অবস্থান না থাকায় জিহাদিরা গাড়ি বোমা হামলা, আত্মঘাতী হামলা এবং হামলা করেই দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার কৌশল অবলম্বন করছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
জাতিসংঘের হিসাবমতে, সেপ্টেম্বর মাসে সন্ত্রাসী হামলা এবং স্বশস্ত্র সংঘাতে ৭১৭ জন ইরাকি নিহত এবং ১ হাজার ২১৬ জন আহত হয়েছেন।