সীমান্তে আটকা পড়া হাজারো অভিবাসন প্রত্যাশীদের চাপ সামলাতে সার্বিয়ার সাথের সীমান্ত খুলে দিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। তীব্র শীত ও বৃষ্টিপাতের মধ্যে সার্বিয়া সীমান্তে এখনও আটকা পড়ে আছে প্রায় ৩ হাজার শরণার্থী। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করছে তারা।
পশ্চিম ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন সংকট। ইতোমধ্যে অভিবাসন প্রত্যাশীদের রুট নিয়ন্ত্রণে ক্রোয়েশিয়া ও স্লোভেনিয়ার সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বল্কান দেশগুলোতে। ক্রোয়েশিয়া-স্লোভেনিয়া সীমান্তে কয়েকশ অভিবাসী আটকা পড়ে আছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্রোয়েশিয়া সার্বিয়ার সাথে সীমান্ত খুলে দিলেও স্লোভেনিয়া শরণার্থীদের প্রবেশ সীমিত করে দিয়েছে। এতে করে তীব্র ঠান্ডায় মানবেতর দিন কাটাচ্ছে হাজারো অভিবাসী।
সঙ্কট উত্তরণে ক্রোয়েশিয়া প্রতিবেশী দেশ স্লোভেনিয়াকে প্রতিদিন ৫ হাজার করে শরণার্থী নেয়ার অনুরোধ জানালেও দৈনিক মাত্র ২ হাজার ৫শ শরণার্থীকে নেওয়ার কথা জানিয়েছে স্লোভেনিয়া। শুক্রবার হাঙ্গেরি, ক্রোয়েশিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দিলে স্লোভেনিয়ায় প্রবেশ করে বিপুল সংখ্যক শরণার্থী। অভিবাসীদের বেশিরভাগই সিরিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের। জার্মানি, সুইডেনসহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে পাড়ি জমাতে তুরস্ক হয়ে বল্কান রাষ্ট্রগুলোতে প্রবেশ করে তারা।
সার্বিয়া-ক্রোয়েশিয়া সীমান্তে পর্যাপ্ত মানবিক সুবিধা না থাকায় পরিস্থিতিকে ভয়াবহ হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। ইউএনএইচসিআর বলছে, সার্বিয়ান সীমান্তে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি অভিবাসী আটকা পড়ে আছে। এবছর ৬ লাখেরও বেশি শরণার্থী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করেছে।
ওদিকে সোমবার জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন স্লোভাকিয়ার একটি শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, অভিবাসন সংকট একটি বৈশ্বিক সমস্যা। সম্মেলনে অভিবাসী ও শরণার্থীদের জন্য দ্রুত জরুরি মানবিক সহায়তার উপর জোর দেন তিনি।