একসঙ্গে মধ্যাহ্ন ভোজের পর আয়োজিত ব্রিফিং অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সামনেই একটি বিশেষ চুক্তিতে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নর্থ কোরীয় নেতা কিম জং উন।
তবে চুক্তিপত্রটিতে আসলে যে কী লেখা আছে তা এখনো অজানা।
চুক্তিপত্রে সই করার আগে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প বলেন, যে কাগজটিতে তারা সই করছেন সেটি ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ এবং ‘যথেষ্ট বিস্তারিত’। কিম জং উনকে ‘চেয়ারম্যান কিম’ সম্বোধন করে তিনি বলেন, এই চুক্তিতে সই করে তারা দু’জনেই সম্মানিত বোধ করছেন।
এরপর কিম বলেন, আজ আমরা একটি ঐতিহাসিক বৈঠক করলাম। এর মধ্য দিয়ে আমরা অতীতকে পেছনে ফেলে এগোবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবার পুরো বিশ্ব একটি বড় ধরনের পরিবর্তন দেখবে।
বৈঠকটি বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। এরপর দু’জনে হাত মিলিয়ে চুক্তিপত্রে সই করেন। কিন্তু চুক্তিপত্রে কী আছে তা বলেননি দুই নেতার একজনও।
অবশ্য ট্রাম্প বলেছেন, মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন তিনি।
‘অনেক বেশি সদিচ্ছা কাজ করেছে এই চুক্তির পেছনে। অনেক কাজ করতে হয়েছে, অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। আজ যা হলো তার জন্য আমরা খুবই গর্বিত’ বলে জানান তিনি।
পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে বৈঠকে কথা হয়েছে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমরা খুব শিগগির, খুব খুব শিগগির প্রক্রিয়াটি শুরু করতে যাচ্ছি।’
এরপরই হোটেল ত্যাগ করেন ট্রাম্প ও কিম। ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাড়িবহর সাথে সাথে সেনতোসা দ্বীপ থেকে সিঙ্গাপুর মূল ভূখণ্ডের দিকে যাত্রা করে। তবে কিম জং উনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সিঙ্গাপুর ছাড়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।