চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

‘বলিউড ছবি’র লভ্যাংশ চাওয়াকে ‘চাঁদাবাজি’ বললেন জায়েদ

বলিউড ছবি আমদানির বিপক্ষে অনড় জায়েদ খান

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি’র পক্ষে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা নায়িকা নিপুণ আক্তার বাংলাদেশে আমদানি ছবি প্রদর্শনে এর লাভ থেকে ১০ শতাংশ চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই অর্থ শিল্পীদের স্বার্থে খরচ করা হবে।

তবে সংগঠনের এই দাবিকে ‘পুরোপুরি চাঁদাবাজি’ বলে জানিয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। যিনি আগের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

Bkash July

শুক্রবার রাতে রাজধানীর এক রেঁস্তোরায় চ্যানেল আই অনলাইনের সাথে আলাপকালে জায়েদ খান শুরুতেই নিপুণের এমন চাওয়ার কড়া সমালোচনা করেন।

পাশাপাশি নিপুণকে কোনোভাবেই সেক্রেটারি পদে মানতে না পারার কথা বলেন জায়েদ। বারবার দাবি করছিলেন, নিপুণ অবৈধভাবে সেক্রেটারির দায়িত্বে আছেন!

Reneta June

জায়েদ খান বলেন: ১০ শতাংশ লভ্যাংশ চাওয়াটা তিনি (নিপুণ) যে অবৈধ তারই বহিঃপ্রকাশ। এই দাবি সে কীভাবে করে? শিল্পীরা লভ্যাংশ চাইবে কোন যুক্তিতে? এটা পুরোপুরি চাঁদাবাজি।

‘অন্তরজ্বলা’-খ্যাত এই নায়ক বলেন, পরিচালক সমিতি, মেকাপ আর্টিস্ট সমিতি থেকে বহু সংগঠন আছে; তাহলে তারাও তো একই দাবি করতে পারে! কারণ সবগুলো সংগঠন সিনেমার সঙ্গে যুক্ত। উনি (নিপুণ) নিজের মতো চেয়েছেন। সমিতির দুই সহসভাপতি ডিপজল রুবেল ভাই এসবের কিছু জানে না।

জায়েদের কথা, নিপুণ নিজে নিজে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে গণমাধ্যমে জানিয়ে তারপরে মিটিং ডেকেছেন। সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেবও এ ব্যাপারে চুপ আছেন।

জায়েদ খান বলেন, শিল্পীরা কেন এই ১০ শতাংশ দানের টাকা নিয়ে বাঁচবে? এর ফলে শিল্পীরা আবারও ছোট হবে। আমি থাকাকালীন কল্যাণ ট্রাস্ট করেছি। পারলে তিনি (নিপুণ) প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ৫০ কিংবা ১০০ কোটি টাকা অনুদান এনে ফান্ড গঠন করে দিক।

ঢাকায় ‘পাঠান’ মুক্তির তোড়জোড় শুরু হলে গেল সপ্তাহে হিন্দি ছবি আমদানি করে মুক্তির ঘোর বিরোধী বলে মন্তব্য করেন জায়েদ খান। নতুন করে তিনি আবারও বলেন, হিন্দি ছবির বিরুদ্ধে আমি কাফনের কাপড় পড়ে রাস্তায় নেমেছিলাম। তখন আমাকে নানাভাবে লোভ দেখানো হয়েছিল কিন্তু আমি রাজি হইনি। এখনও চাই এদেশে ভিনদেশী ছবি মুক্তি বন্ধ হোক।

এ কারণে জায়েদকে নেটিজেনরা বিভিন্নভাবে ট্রল করতে শুরু করে। এমনকি ‘পাঠান’র পোস্টার এডিট করে শাহরুখ খানকে সরিয়ে তার ছবি লাগিয়ে নাম বিকৃত করে ফেসবুকে ছড়ায়।

এ বিষয়টি নজরে এসেছে জায়েদের। যারা ট্রলের মাধ্যমে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছে জায়েদ তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ট্রল ও সমালোচনাকারীদের ‘পাকিস্তানের বীজ’ উল্লেখ করে জায়েদ বলেন, বাংলাদেশ ধ্বংস হচ্ছে এদের কারণে। প্রধানমন্ত্রী অভূতপূর্ব উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিচ্ছেন, তারপরও তাকে কিছু মানুষ ট্রল করছে। এরা আসলে দেশদ্রোহী।

জায়েদ বলেন, অযোগ্য মানুষরা সমালোচনা ও ট্রল করছে। তারা যদি ট্রল করবে তাহলে আমাকে ফলো করে কেন? যাদের কাজ নেই, বাসায় ভাত নেই তারা সমালোচনা করতে থাকে। ভালো পরিবারের কেউ ট্রল ও সমালোচনা করে না। যাদের তারা ট্রল করছে তাদের ছুঁতে হলে ট্রলকারীদের হাজার বছর সাধনা করতে হবে।

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View