ট্র্যাভিস হেডের উড়ন্ত শুরুর পর পথ হারিয়ে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেখান দলের হাল ধরে লড়াই করার মতো সংগ্রহ তুলতে অবদান রাখেন প্যাট কামিন্স। পরে বল হাতেও রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। নিউজিল্যান্ডকে উড়তে না দিয়ে লেগ স্পিন ঝলক দেখান অ্যাডাম জাম্পা। তাতে কিউইদের বিপক্ষে ৭২ রানের বড় জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিতে নিল সফরকারী দলটি।
অকল্যান্ডে শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১৭৪ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে জাম্পার বোলিং তোপে ১৭ ওভারে ১০২ রানেই গুটিয়ে যায় কিউইদের ইনিংস। তাতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত হলো অজিদের।
১৭৫ রানের লক্ষ্যে নেমে পাওয়ার প্লেতে ফিন অ্যালেন, উইল ইয়ং, মিচেল স্যান্টনারকে হারায় নিউজিল্যান্ড। পাওয়ার-প্লে’র পর পরই ফেরেন মার্ক চাপম্যান। জশ হ্যাজেলউড, নাথান এলিস, কামিন্সদের তোপে ২৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে কিউই দলটি।
জশ ক্লার্কসেনকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন গ্লেন ফিলিপস। তাদের জুটি ৩২ বলে ৪৫ তোলার পর আঘাত হানেন জাম্পা। এরপর থেকে টানা উইকেট নিতে থাকেন তিনি। এক পর্যায়ে ৮৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে একশোর আগেই গুটিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতিতে পড়ে নিউজিল্যান্ড।
ট্রেন্ট বোল্টের ব্যাট থেকে কিছু রান আসার পর দলের রান একশো পার হলেও ম্যাচে তার প্রভাব ছিলো না। ৩৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে জাম্পাই ঘুরিয়ে দেন ম্যাচের মোড়। হ্যাজেলউড ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে পান ১ উইকেট। কামিন্সের ৩ ওভার থেকে ১৯ রান নিয়ে ১ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। এছাড়া নাথান এলিস ১৬ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট।
এর আগে ব্যাটে নেমে আগ্রাসী শুরু পেয়েছিলেন হেড। স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৩২ রান। ৭ বলে ১১ করে হেডের বিদায়ের পর অধিনায়ক মিচেল মার্শের সঙ্গে ফিফটি পার করা জুটি পান হেড। ২১ বলে ২৬ করে করে মার্শ আউট হলে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ধস নামে।
মিডল অর্ডারে রান পাননি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, জশ ইংলিস। ২২ বলে ৪৫ রান করে ফেরেন হেড। টিম ডেভিড থিতু হতে সময় নিয়ে ইনিংস টানতে পারেননি। ১৩৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল সফরকারীরা। কিন্তু এলিসের সঙ্গে ২৮ বলে ৩৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটিতে দলকে ম্যাচে ফেরান কামিন্স। এনে দেন ১৭৪ রানের পুঁজি। তাতে শেষ পর্যন্ত অবশ্য ম্যাচে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে অজিরা।
রোববার একই মাঠে শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সামনে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর চ্যালেঞ্জ।