নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ইউপি সদস্য উপনির্বাচন নিয়ে পরাজিত প্রার্থী ও বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে হৃদয় ভূঁইয়া নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন ৫ জন।
শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে নির্বাচনী ফল প্রকাশের পর এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হৃদয় ভূইয়া দুধঘাটা গ্রামের আমির আলী ভূইয়ার ছেলে। তিনি নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী কায়সার আহম্মেদ রাজুর সমর্থক।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মোরগ প্রতীকে আব্দুল আজিজ সরকার ও তালা প্রতীকে কায়সার আহম্মেদ রাজু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোট গ্রহণশেষে আজিজ সরকার ৯২৯ ভোট ও কায়সার আহম্মেদ রাজু ৮১১ ভোট পান।
ভোটগননা শেষে কেন্দ্রে ফলাফল জানানোর পর পরাজিত প্রার্থী ও বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশ এবং দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
এ সময় কেন্দ্র থেকে প্রিজাইডিং অফিসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপর হামলা করে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে পরাজিত প্রার্থীর লোকজন। ভাংচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় হৃদয় ভূঁইয়া নামে এক যুবক গুলিবৃদ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সংঘর্ষের পর দু’পক্ষের আরও তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ফারুক নামে একজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, দুই প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. মুজিবুর রহমান গত বছরের ২০ মে ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে এ পদটি শূন্য হয়। শনিবার ওই শূন্য পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।