ঢাকায় অপহরণের ছয় দিন পর কক্সবাজারের আবাসিক হোটেল থেকে এক তরুণীকে উদ্ধার করে অপহরণকারী যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার আরাফাত হোসেন রুবাই (২২) গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানার নিসাদ নগর এলাকার আকতার হোসেনের ছেলে। উদ্ধারকৃত তরুণী (১৮) ঢাকার পল্লবী থানার স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সহকারি পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. শামসুল আলম খান জানান, সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোন এলাকার এক আবাসিক হোটেলে এ অভিযান চালানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২১ মার্চ দুপুরে ঢাকার পল্লবী থেকে ওই তরুণীর অপহরণ হয়। পরে ঘটনার দুইদিন পর ওই তরুণীর এক বোন বাদী হয়ে পল্লবী থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার নথির বরাতে এএসপি শামসুল আলম বলেন, ভূক্তভোগী তরুণী ঢাকার বিএন কলেজে মানবিক বিভাগ থেকে চলতি বছর এএইচএসসি পরীক্ষায় পাশ করেন। কলেজে যাতায়তের সময় ওই তরুণীর এক চাচাত বোনের বন্ধু জনৈক আরাফাত হোসেন রুবাই এর সঙ্গে পরিচয় ঘটে। পরে রুবাই কৌশলে ওই তরুণীর মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে।

জানা গেছে, মোবাইল ফোনে কল করে আরাফাত হোসেন রুবাই প্রায় সময় ওই তরুণীকে উত্যক্ত করতো। এক পর্যায়ে ওই তরুণীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। পরে বিষয়টি ওই তরুণীর পরিবার রুবাইয়ের পরিবারকে জানায়। এতে রুবাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওই তরুণীকে অপহরণের হুমকি দেয়।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন,গত ২১ মার্চ দুপুরে ঢাকার পল্লবী থানার স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকার কালশী হতে ওই তরুণী নিখোঁজ হন। স্বজনরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে গত ২৩ মার্চ ওই তরুণীর এক বড় বোন বাদী হয়ে আরাফাত হোসেন রুবাইকে প্রধান আসামি করে পল্লবী থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
শামসুল আলম জানান, ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এক পর্যায়ে সোমবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোন এলাকার আবাসিক এক হোটেলে অপহৃত তরুণীসহ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি অবস্থান করার খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এসময় হোটেল কক্ষে কৌশলে প্রবেশ করে ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয় এবং একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবককে কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের এ সহকারি পরিচালক।