বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩-২৫ চক্রে এখনো কোনো ম্যাচ খেলেনি সাউথ আফ্রিকা। সেঞ্চুরিয়নে ভারতের বিপক্ষে প্রোটিয়ারা শুরু করছে অভিযান। মঙ্গলবার বক্সিং ডে টেস্টের আগে সতর্ক টেম্বা বাভুমা। স্বাগতিক অধিনায়ক মনে করছেন, ঘরের মাঠের সুবিধা আদায়ে ভারতের বোলিং আক্রমণ বড় বাধা হবে তার দলের।
টি-টুয়েন্টি সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র করে ওয়ানডেতে ২-১এ হেরে টেস্টে নামছে সাউথ আফ্রিকা। ঘরের মাঠে লাল-বলের ক্রিকেটেও টিম ইন্ডিয়ার বোলারদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে, যা ভাবাচ্ছে বাভুমাকে।
সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরুর আগেরদিন বড়দিনে প্রোটিয়া অধিনায়ক বললেন, ‘আমরা এই কন্ডিশন অনেক ভালো বুঝি। সকলের আশা, আমরা অনেক ভালো খাপ খাইয়ে নেবো। কিন্তু তাদের বোলিং বেশ শক্তিশালী। তারা যেভাবে এমন সাফল্য অর্জন করছে, সেটা তাদের বোলিং আক্রমণের কারণেই সম্ভব হয়েছে। এধরনের বোলিং আক্রমণ আমাদের ঘরের মাঠের সুবিধাগুলোকে আড়াল করে দেয়। ব্যাটাররা কীভাবে সেই চ্যালেঞ্জটি নেয় সেটাই বড় ব্যাপার।’
জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ, শার্দূল ঠাকুরের মতো পেসাররা সাউথ আফ্রিকার জন্য হয়ে উঠতে পারেন ভয়ঙ্কর। সফরকারী ব্যাটারদের বড় পরীক্ষায় ফেলার ক্ষমতা রাখেন কাগিসো রাবাদা, জেরাল্ড কোয়েটজি, মার্কো জানসেন, লুনগি এনগিডিরাও। দুদলের মূল পার্থক্য পেসাররাই গড়বেন, মিলছে আভাস।
বাভুমার ভাবনা, ‘একজন ব্যাটার হিসেবে আমার মনে হয় বোলাররা আপনাকে চাপে ফেলতে চলেছেন। এমনকি তাদের ব্যাটিং লাইনআপও। ভারতের নামকরা টেস্ট খেলোয়াড় আছেন, যারা সবরকম পরিস্থিতিতে পারফর্ম করেছেন।’
‘তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ একটা দল। যারা বলতে চান যে, সাউথ আফ্রিকায় একটি টেস্ট সিরিজ জিতেছেন। আমাদের সত্যিই নিজেদের সেরা অবস্থানে থাকতে হবে।’
একমাসেরও বেশি সময় ধরে ক্রিকেটের বাইরে বাভুমা। ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর খেলায় নেই। ১৪ থেকে ১৭ ডিসেম্বর একটি প্রথম-শ্রেণির ম্যাচে খেলার কথা ছিল। কিন্তু জরুরি কাজে নাম প্রত্যাহার করে নেন। গত মার্চ থেকে দীর্ঘ ফরম্যাটের কোনো ক্রিকেট খেলেননি প্রোটিয়া অধিনায়ক।
বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেয়া বাভুমা সম্প্রতি বাবা হয়েছেন। ভারতের বিপক্ষে মিডল অর্ডারে ব্যাট করার অপেক্ষায় থাকা তারকা বললেন, ‘মানসিকভাবে আগের মতোই সতেজ। কোনো লাল বলের ক্রিকেট ম্যাচ অবশ্য অনেকদিন পাইনি। ঘরে বসে সময়টা স্ত্রী ও বাচ্চার সঙ্গে উপভোগ করেছি। কিন্তু ক্রিকেট মিস করেছি এবং টি-টুয়েন্টি ও ওয়ানডেতে ছেলেদের খেলা দেখছিলাম।’