যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর ১৬ শহরে বসবে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ। বৈশ্বিক আসরটির ইতিহাসে প্রথমবার তিন দেশের ভেন্যুজুড়ে হবে খেলা। ৩২ দল থেকে সেবারই প্রথম ৪৮ দলের বিশ্বআসরের দেখা মিলবে।
নর্দার্ন আমেরিকার ১৬ শহরের নাম জানিয়ে দিয়েছে ফিফা। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হবে যুক্তরাষ্ট্রে, ১১টি ভেন্যুতে। কোয়ালিফায়ার ও ফাইনালসহ ৬০টি ম্যাচ গড়াবে দেশটিতে। গ্রুপপর্বের ১০টি করে ম্যাচ আয়োজন করবে মেক্সিকো এবং কানাডা। দেশ দুটি যথাক্রমে তিনটি ও দুটি ভেন্যু ঠিক করেছে।
দল বাড়ার সঙ্গে বেড়ে যাবে ম্যাচ সংখ্যাও। বর্তমানে ৬৪টি ম্যাচ বেড়ে দাঁড়াবে ৮০টিতে। ৪৮ দেশকে ভাগ করা হবে ১৬ গ্রুপে। তিনটি করে দেশ থাকবে প্রতি গ্রুপে। প্রতি পর্বের দুটি করে দল যাবে শেষ ৩২-এ। একক-এলিমিনেশন নকআউট স্টেজের অধীনে পরের ফরম্যাট সাজানো হবে।
১৯৯৪ সালের পর আবারও বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে উত্তর আমেরিকা। তিন দেশের প্রথম আসরটিতে দর্শক যেন ঠিকঠাক অংশ নিতে পারেন সেদিকেও খেয়াল রাখছে ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা।
ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ ইতিহাসে নতুন সংস্করণ আনা অনেক প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া ছিল। আমরা ক্লাস্টার নিয়ে কাজ করবো। সমর্থক এবং দলগুলোকে যাতে পশ্চিম, মধ্য বা পূর্বে খুব বেশি ভ্রমণ করতে না হয়।’