কক্সবাজার শহরে নির্মাণাধীন পানির সেপটি ট্যাংকে কাজ করতে গিয়ে দুই শ্রমিক নিহত এবং একজন আহত হয়েছে।
রোববার দুপুর ১ টায় কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ সংলগ্ন সৈকত আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন।
নিহতরা হল, কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতি পাড়ার মৃত মো. সোলেমানের ছেলে আবুল কাশেম (৪৫) এবং কক্সবাজার শহরের জেল গেইট এলাকার আব্দুল মোনাফের ছেলে নুরুল হুদা ওরফে জাম্বু (২৪)। আহত হয়েছেন, কক্সবাজার শহরের ঘোনার পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
পরিদর্শক সেলিম উদ্দিন বলেন, রোববার দুপুরে কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ সংলগ্ন সৈকতে আবাসিক এলাকায় সৌদি প্রবাসী জনৈক মোস্তাক আহমদের নির্মাণাধীন ভবনের একটি সেফটি ট্যাংকে কাজ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। এতে ট্যাংকের ভিতরে কাজ করতে নেমে তিনজন শ্রমিক অচেতন হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্য শ্রমিকরা তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিদর্শক (তদন্ত) বলেন, চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, নির্মাণাধীন সেফটি ট্যাংকের ভিতরে অক্সিজেন সংকটের কারণে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ময়নাতদন্তের পর তাদের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নির্মাণ শ্রমিক মোহাম্মদ রুবেল বলেন, নির্মাণাধীন পানির সেফটি ট্যাংকে তারা ৭ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। আবুল কাশেম নামের একজন শ্রমিক সেফটি ট্যাংকের ভিতরে পরিস্কার করতে নামেন। এতে ট্যাংকের ভিতরে নামার সাথে সাথেই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে আবুল কাশেমকে উদ্ধারের জন্য ট্যাংকে নামেন নুরুল হুদা ওরফে জাম্বু। এসময় তিনিও (নুরুল হুদা) অবচেতন হয়ে পড়েন। এরপর ট্যাংকের ভিতরে অবচেতন দুইজনকে উদ্ধারে নামেন মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান নামের আরেক শ্রমিক। এতে তিনিও ( হাবিবুর রহমান ) অচেতন হয়ে যান।
ঘটনার এ প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ট্যাংকের ভিতরে অবচেতন তিনজনকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্য শ্রমিকরা কৌশলে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম উদ্দিন।