স্যাম কারেনের বিশ্বাস না হওয়ারই কথা! আফগানিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিয়ে ফেরার পর নিজেই বললেন, ‘খেলা শুরুর সময় ভাবতেও পারিনি, এমন পারফর্ম করব!’ কী করেছেন ইংলিশদের বাহাতি এ অলরাউন্ডার? মার্ক উড-ডেভিড উইলি-জোফরা আর্চার যেটা এখনও করতে পারেননি সেটাই করেছেন কারেন।
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি মিডিয়াম পেস বোলিং করা ২৪ বর্ষী বনেছেন ইংলিশদের আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটের প্রথম ফাইফার। ইতিহাস গড়া কারেন আরেকটি রেকর্ডও করেছেন, ইংলিশদের সেরা বোলিং ফিগার আদিল রশিদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিজের করেছেন।
পার্থে বাহাতি পেসারের ফাইফারের দিনে দাপট দেখিয়েছেন বেন স্টোকস-মার্ক উডও। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম দিনে পেস তাণ্ডবে ১১২ রানেই গুড়িয়ে গেছে আফগানিস্তান। চার পেসার মিলে ধসিয়ে দিয়েছেন রশিদ-নবীদের, ক্রিস ওকস একটি, স্টোকস ও উড দুটি ও বাকি ৫ উইকেট নিয়েছেন কারেন।
স্টোকস-উডের তোপে যখন ধাতস্ত হয়ে আসছিল আফগানরা তখন আঘাত হানেন কারেন। ২৭ রানের জুটি ভেঙে নিজের প্রথম ওভারেই ফেরান শীর্ষ রান স্কোরার নাজিবুল্লাহ জাদরানকে। ইনিংসের বারোতম ওভারের পর জশ বাটলার তাকে আবারও বোলিংয়ে আনেন স্লগ ওভারে। আঠারোতম ওভারে অধিনায়কের মান রাখেন কারেন। শেষ দুই বলে দুই উইকেট তুলে থাকেন হ্যাটট্রিকের সামনে।
ইনিংসের শেষ ও নিজের কোটার চতুর্থ ওভারে হ্যাটট্রিক পূর্ণ না হলেও দ্বিতীয় বলেই ফেরান একপাশ আগলে থাকা উসমান ঘানিকে। জাদরান, ওমরজাই, রশিদ খান, উসমান ঘানি—দরকার আরেকটি উইকেট। বেশি সময় নেননি কারেন। ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে ফজল হক ফারুকিকে মালানের ক্যাচ বানিয়ে প্রথম ফাইফার বনার উল্লাসে মাতেন।
টি-টুয়েন্টিতে ইংলিশ বোলারদের হয়ে এটিই প্রথম পাঁচ উইকেট শিকার। ৩.৪-০-১০-৫ উইকেট—এটি ইংলিশদের ছোট ফরম্যাটের আন্তর্জাতিকেও সেরা বোলিং ফিগার। আগেরটি ছিল স্পিনার আদিল রশিদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এ লেগির বোলিং ফিগার ছিল ২.২-০-২-৪।