চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে ফাতেমা-তুজ-জোহরার যোগদানের মধ্যে দিয়ে জেলার ৪ উপজেলাতেই নারী কর্মকর্তা পেল জেলাবাসী।
এর আগে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি জেলার দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করেন রোকসানা মিতা, ১৮ জুন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করনে স্নিগ্ধা দাস, ১৯ জুলাই জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন হাসিনা মমতাজ এবং ১০ ডিসেম্বর ফাতেমা-তুজ-জোহরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছেন।
সম্প্রতি বদলি আদেশ পাওয়া চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে শামীম ভূঁইয়া ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর যোগদান করেন। আর সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে ২০২১ সালের ১৮ মে যোগদান করেছিলেন ফাতেমা-তুজ-জোহরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় শামীম ভুইয়ার স্থলে ফাতেমা-তুজ-জোহরা ইউএনও হিসেবে যোগদান করায় প্রথমবারের মত চুয়াডাঙ্গার ৪ টি উপজেলাতেই নারী ইউএনও পেল জেলাবাসী।
একটি জেলার ৪ উপজেলাতেই নারী নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নারীদের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন সচেতন মহল। তাদের মতে, এ থেকে নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী অগ্রযাত্রার রোল মডেল হতে পারে চুয়াডাঙ্গা। যদিও কর্মক্ষেত্রে নারী এবং পুরুষের আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। নারীরাও এখন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।
জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা জানান, যে কোন স্তরে নারী-পুরুষ সমানভাবে কাজ করতে পারেন। নারীদের আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। নতুন সহকর্মী যোগ্য ও দক্ষ বলে আমি শুনেছি। ৪ জনই রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করবেন।