তিনদিন আগে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে পর্যটকসহ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া টাইটান নামক সাবমেরিনটির খোঁজ মেলেনি এখনও, চলছে অনুসন্ধানের কাজ। এদিকে শেষ হয়ে আসছে সাবমেরিনটিতে থাকা অক্সিজেনের মজুত, সেখানে থাকা অক্সিজেনের সাহায্যে আর মাত্র ২৫ ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারবেন যাত্রীরা।
বিবিসি তাদের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, টাইটান নামক হারিয়ে যাওয়া সাবমেরিনটি কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের রাজধানী সেন্ট জনস থেকে প্রায় এক হাজার ৪৫০ কিলোমটিার পূর্ব এবং ৬৪৩ কিলোমিটার দক্ষিণের সমুদ্রে অবস্থান করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত রোববার ডুবে গিয়ে এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের মাথায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আগে সাবমেরিনটিতে অবস্থানরত মানুষদের প্রায় চারদিনের সমান অক্সিজেনের মজুত ছিল। তিন দিন যাবৎ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেও কোনও রকম সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না বিলাসবহুল এই সাবমেরিনের।
পর্যটকবাহী এই সাবমেরিনটিতে আছেন, ব্রিটিশ ধনকুবের হামিস হার্ডিং(৫৮), ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ (৪৮) ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ (১৯) এবং ওশেনগেটের প্রধান নির্বাহী স্টকটন রাস (৬১)। সাবমেরিনটি পরিচালনার দায়িত্বে আছেন ৭৭ বছর বয়সী নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত নাবিক পল-হেনরি নারগোলেট।
প্রায় আড়াই কোটি টাকার টিকিট কেটে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া এই মানুষগুলোর বাঁচার সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসছে। তবে হাল ছাড়ছেন না উদ্ধারকারী কোস্টগার্ডের কমান্ডাররা, সবাইকে জীবিত উদ্ধার করতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা।